ক্রীড়া প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কায় গতকাল সিডনি স্টেডিয়াম ছিল দর্শকশূন্য। তাই তেমন উত্তাপ ছিল না অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মধ্যেকার প্রথম ওয়ানডেতে। তবে ব্যাপারটি মনেই করেনি অজিরা। উল্টো ঘরের মাঠে ব্যাট-বল হাতে দাপুট পারফর্ম করে ঠিকই সফরকারীদের ৭১ রানে হারিয়ে ১-০ তে এগিয়ে গেছে সিরিজে।
সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে তিন ম্যাচের প্রথমটিতে আগে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৫৮ রান। পরে বল হাতে নিউজিল্যান্ডকে ৪১ ওভারে মাত্র ১৮৭ রানে গুটিয়ে দেয় স্বাগতিকরা। আর তাতে সিরিজে অ্যারন ফিঞ্চের দল এগিয়ে যায় ১-০ ব্যবধানে।
গতকাল টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ডেভিড ওয়ার্নার (৬৭) ও অ্যারন ফিঞ্চের (৬০) নৈপুণ্যে দারুণ শুরু পায় অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু এ দুজনের জুটি ২৪.১ ওভারে ১২৪ রান তোলার পর বিচ্ছিন্ন হলে বিপদে পড়ে স্বাগতিকরা। মাঝে অবশ্য মিশেল মার্সকে সঙ্গী করে মার্নাস লাবুশেনে স্বাগতিকদের হাল ধরেন। ষষ্ঠ উইকেটে ৫৪ রানের জুটি গড়েন তারা। তাতে অজিরা চ্যালেঞ্জিং স্কোরের পথে হাঁটে। শেষ পর্যন্ত মার্স ৩৪ বলে ২ চারে ২৭ রানে ফেরেন ইশ শোধির বলে। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বল পর্যন্ত খেলেন লাবুশেনে। তাতে অজিরা টপকে যায় আড়াই রানের গণ্ডি। ফার্গুসনের বলে টেইলরের হাতে ধরা পড়ার আগে লাবুশেনে করেন ৫২ বলে ২ চারে ৫৬ রান।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে শোধি ৫১ রানে নেন ৩টি উইকেট। এদিকে মিশেল স্যান্টনার ও লিয়াম ফার্গুসন নেন ২টি করে উইকেট।
২৫৯ রান ওয়ানডেতে চেজ করা বর্তমান সময়ে কোনো ব্যাপারই নয়। কিন্তু গতকাল সেই কাজটাই শুরু থেকে নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন করে দেন জস হেজেলউড ও প্যাট কামিন্স। ২৮ রানেই সফরকারী ওপেনার হেনরি নিকলসকে (১০) ফিরিয়ে দেন হেজেলউড। এরপর কেন উইলিয়ামসন ও মার্টিন গাপটিল চেষ্টা করেছিলেন কিউইদের হাল ধরার। কিন্তু তাদের সে আশা পূরণ করতে দেননি কামিন্স। এ পেসার দলীয় ৬৪ রানের মাথায় ফিরিয়ে দেন উইলিয়ামসনকে (১৯)। এর কিছুক্ষণ পরই টস টেইলর ফিরে যান মার্সের স্বীকার হয়ে সীমানায় ক্যাচ দিয়ে। মাঝে অবশ্য টম লাথাম চেষ্টা করেছিলেন সফরকারীদের পথ দেখাতে। কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে নিয়ে খেলছিলেনও বেশ। কিন্তু ইনিংসের ৩৩তম ওভারের সময় হেজেলউডের বল ঠিকমতো খেলতে না পেরে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লাথাম (৩৮)। পরে গ্র্যান্ডহোমও বাজে শটে উইকেট বিলিয়ে দেন। যে কারণে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি দলটি।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে কামিন্স ও মার্স নেন ৩টি করে উইকেট। এদিকে হেজেলউড ও জাম্পা নেন ২টি করে উইকেট।