নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারত থেকে আমদানি করা শুল্কমুক্ত ১০৪৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ খালাস দেওয়া হয়েছে। রোববার (১০ মে) দর্শনা শুল্ক স্টেশনে এসব পেঁয়াজ খালাস দেওয়া হয়। এর আগে শনিবার (৯ মে) ভারত থেকে ট্রেনের ৪২টি বগি করে এসব পেঁয়াজ দর্শনা শুল্ক স্টেশনে আসে। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের ফলে দুই দেশেই অবরুদ্ধ অবস্থার কারণে বেশ কিছুদিন আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত হয়। পেঁয়াজ আমদানির মাধ্যমে ভারত থেকে বাংলাদেশে মালবাহী ট্রেনে পণ্য আমদানি শুরু হয়েছে।

এ বিষয়ে যশোর ভ্যাট কমিশনার মো. জাকির হোসেন শেয়ার বিজকে বলেন, ‘আজ দর্শনা শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা শুল্কমুক্ত ১০৪৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ খালাস দেওয়া হয়েছে। অগ্রাধিকারভিত্তিতে দ্রুত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য হিসেবে এসব পেঁয়াজ খালাস দেওয়া হয়।’
আরো পড়ুন-দর্শনায় ভারত থেকে ট্রেনে আসল ৪২ বগি পেঁয়াজ
শনিবার ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার (৯ মে) পেঁয়াজবাহী প্রথম ট্রেন বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় রেলওয়ে। দর্শনা-গেদে পয়েন্টে এই হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলার কথা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কাস্টমস ছাড়পত্র পেলে ৪২ বগি পেঁয়াজ সুবিধাজনক স্থানে আনলোড করা হবে।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার চারটি রেলওয়ে পয়েন্ট দিয়ে আরও কিছু মালবাহী ট্রেন নিত্যপণ্য নিয়ে আসবে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। কভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারী রূপ পাওয়ার পর এর বিস্তার ঠেকাতে দেড় মাস আগে ভারত-বাংলাদেশ উভয় দেশই লকডাউন সৃষ্টি করে। এই সময়ে গণপরিবহন সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
এর আগে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, ভারত থেকে জরুরী প্রয়োজনে পণ্য আমদানি ও সরবরাহ বাড়াতে সরকার চারটি রেল রুট চালু করতে যাচ্ছে। রেলের কার্গো চালু করতে যাওয়া রুটগুলো হলো-যশোর, দর্শনা, বিরল ও রাধিকাপুর।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজও ভারত থেকে আসছে। নাসিকজাতের পেঁয়াজ নিয়ে বেশকিছু কার্গো ট্রেন বুক হয়েছে আসার জন্য। আশা করা যাচ্ছে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের বর্ডারে চলে আসবে। আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝিতে ভারতের পেঁয়াজও আমরা পেয়ে যাবো। আমাদের দেশের পেঁয়াজও বাজারে চলে এসেছে। ফলে আশা করছি পেঁয়াজের দাম সহনীয় মাত্রায় চলে আসবে।