দর্শনীয় বিলোনিয়া রেলস্টেশন

১৯২৯ সালে চালু করা হয় ফেনী-বিলোনিয়া রেলপথ। দীর্ঘদিন পর ১৯৯৬ সালে লোকসানের অজুুহাতে বন্ধ হয়ে যায় এই রুটটি।
২২ বছর রেলপথটি বন্ধ থাকায় ফেনী থেকে বিলোনিয়া পর্যন্ত আটটি রেলস্টেশন ভেঙেচুরে গেছে। পরিত্যক্ত হয়ে ভুতুড়ে স্থানে পরিণত হয়েছে। লুট হয়ে গেছে এসব স্টেশনের আসবাব ও দরজা-জানালা। ২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে রেললাইনের অনেক জায়গায় রেলপাত ও সিøপার চুরি হয়ে যাওয়ায় রেললাইনের অস্তিত্ব প্রায় বিলীনের পথে।
রেললাইনের উভয় পাশে ২০ ফুট করে ৪০ ফুট জায়গা রেলওয়ের মালিকানাধীন। এসব ভূমি দীর্ঘদিন ধরে বেদখলে রয়েছে। আশেপাশের শত শত একর জায়গা দখল করেছে প্রভাবশালী ও ভূমিদস্যুরা।
আশার কথা, ভারত-ফেনী সীমান্তে বিলোনিয়া স্থলবন্দরের পর এবার বিলোনিয়ায় রেল ট্রানজিট করতে চাচ্ছে ভারত। আগরতলা-আখাউড়া স্টেশনের দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে পাঁচ কিলোমিটার ত্রিপুরা অংশে। এই রেলসংযোগ স্থাপন হলে বাংলাদেশের আশুগঞ্জ ও চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে ত্রিপুরার যোগাযোগ সহজ হবে। ভারতের আগরতলা-সাব্রুম রেললাইন ভারতের বিলোনিয়া ও বাংলাদেশের পরশুরাম হয়ে ফেনী পর্যন্ত পুনঃস্থাপন করা হবে, যার দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার। যাওয়ার পথে দেখা যাবে বিলোনিয়া যুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভটিও।

যেভাবে যাবেন
দেশের যে কোনো স্থান থেকে বাস কিংবা ট্রেনে চড়ে চলে আসুন ফেনী। ফেনীর মহিপাল থেকে রিকশা কিংবা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চলে যান সদর হাসপাতাল মোড়ে। সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা কিংবা বাসে যেতে হবে পরশুরাম বাজারে। এই বাজার থেকে অটোরিকশায় ১০ টাকা ভাড়া দিয়ে চলে যান বাউরখুমায় অবস্থিত বিলোনিয়ার মূল রেলস্টেশনে।

শাহাদাত হোসেন তৌহিদ

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০