নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত আরএন স্পিনিং মিলস লিমিটেড গত সপ্তাহে দর কমার শীর্ষে উঠে এসেছে। এ সময় কোম্পানিটির শেয়ার ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ দর হারায়। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, ‘জেড’ ক্যাটাগরির এ কোম্পানিটির গত সপ্তাহে টার্নওভারের পরিমাণ ছিল ৩১ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এ সময় কোম্পানির গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৬ কোটি ২৩ লাখ ৭৮ হাজার টাকা।
এদিকে ২০১৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ১৮ মাসের জন্য ২০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ। সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে এক টাকা ১ পয়সা। শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৩৭ পয়সা। আগামী ৩০ মার্চ সকাল ১০টায় কুমিল্লার শালবন মাল্টিপারপাস হলে অনুষ্ঠিত হবে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট গত ১৫ মার্চ নির্ধারিত ছিল।
এদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) শেয়ারপ্রতি ৮ পয়সা লোকসানে রয়েছে আরএন স্পিনিং। আগের বছর একই সময়ে লোকসানের পরিমাণ ছিল ১৭ পয়সা। তবে গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সমাপ্ত প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৩২ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যার লোকসানের পরিমাণ ছিল ২০ পয়সা।
লভ্যাংশের ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এর আগে ২০১১ সালের জন্য বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানির পর্ষদ। পরবর্তী সময়ে ২০১৫ সমাপ্ত হিসাববছর থেকে মামলার জটিলতার কারণে বার্ষিক সাধারণ সভা ও লভ্যাংশ দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি।
শেয়ারদর পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত দুই বছরে কোম্পানির শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৭ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৩২ টাকা ৫০ পয়সায় বেচাকেনা হয়েছে। গত এক মাসে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২৫ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৯ টাকা ৭০ পয়সায় বেচাকেনা হয়েছে।
২০১০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া আরএন স্পিনিংয়ের অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ২৪ কোটি ৭৮ লাখ ১৮ হাজার ৭০৯টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৩৬ দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৯ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি তালিকাভুক্ত শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের দর কমার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। কোম্পানিটির শেয়ারদর সপ্তাহের ব্যবধানে ১৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ পরিবর্তন হয়েছে। এ সময় কোম্পানির টার্নওভারের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৮ কোটি ২ লাখ টাকা। যার দৈনিক গড় লেনদেন দাঁড়িয়েছে ১৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
গত এক মাসে কোম্পানির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৪৮ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫৫ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
শেয়ারদর এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ পরিবর্তন হয়ে দর কমার তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ‘এ’ ক্যাটাগরির আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড। কোম্পানিটির গত সপ্তাহে মোট টার্নওভার হয়েছিল ৬৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা; যার দৈনিক গড় লেনদেন দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
গত দুই বছরে কোম্পানির শেয়ার ১৩ টাকা ৪০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৬০ টাকা ৪০ পয়সায় বেচাকেনা হয়েছে। গত এক মাসে কোম্পানির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৪৭ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৬০ টাকা ৪০ পয়সায় বেচাকেনা হয়েছে।
এদিকে দর কমার শীর্ষ দশ কোম্পানির মধ্যে রয়েছেÑআইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড, কোম্পানির শেয়ারদর ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ পরিবর্তন হয়েছে। লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড, কোম্পানির শেয়ারদর ১১ দশমিক ১৩ শতাংশ পরিবর্তন হয়েছে। আইসিবি এএমসিএল ফার্স্ট এনআরবি মিউচুয়াল ফান্ড, ফান্ডটির দর নয় দশমিক ১৭ শতাংশ পরিবর্তন হয়েছে। সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, কোম্পানিটির শেয়ারদর সাত দশমিক ৫৯ শতাংশ পরিবর্তন হয়েছে। মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারদর সাত দশমিক ২৯ শতাংশ পরিবর্তন হয়েছে। বারাকা পাওয়ার লিমিটেডের শেয়ারদর ছয় দশমিক ৯৯ শতাংশ পরিবর্তন হয়েছে। রহিমা ফুড করপোরেশন লিমিটেডের দর ছয় দশমিক ৮১ শতাংশ এবং এএফসি এগ্রো বায়োটেক লিমিটেডের দর পাঁচ দশমিক ৬২ শতাংশ পরিবর্তন হয়েছে।
Add Comment