নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল বৃহস্পতিবার টপ টেন গেইনার বা দর বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল দ্য পেনিনসুলা চিটাগং লিমিটেড। এদিন শেয়ারটির দর দুই টাকা ৭০ পয়সা বা ১০ শতাংশ বেড়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ১০ শতাংশ বা দুই টাকা ৭০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ২৯ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৯ টাকা ৭০ পয়সা। দিনজুড়ে ৫৮ লাখ ৮৮ হাজার ৭০০টি শেয়ার দুই হাজার ৬৭৫ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৬ কোটি ৯০ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৭ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৯ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৪ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৪২ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। কোম্পানিটি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৩০ জুন ২০১৬ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ওই সময় কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৪ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ৩১ টাকা ১৬ পয়সা। কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ৯ কোটি ৯৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ২০১৫ সালে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল, যা আগের বছরের চেয়ে পাঁচ শতাংশ বেশি। ওই সময় ইপিএস হয়েছিল এক টাকা ২৭ পয়সা এবং এনএভি ছিল ৩২ টাকা ৮৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে দুই টাকা ৭০ পয়সা ও ৩২ টাকা ৬৩ পয়সা। ওই বছর কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ১৪ কোটি ৪০ লাখ ৪০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ১৮ কোটি ২১ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিআরএবি) রেটিং অনুযায়ী কোম্পানিটির রেটিং হয়েছে ‘এএ৩’। ৩১ মার্চ ২০১৬ থেকে ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন ও ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত ব্যাংকের দায়ের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছিল ৫০ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল ৩৮ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ১২ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত এনএভি দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৬৫ পয়সা, যা একই বছর ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল ৩১ টাকা ১৬ পয়সা। কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল পাঁচ কোটি ৯২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১১৮ কোটি ৬৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ১৪৬ কোটি ১২ লাখ টাকা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ১৬ পয়সা এবং কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে এক কোটি ৮৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১০ পয়সা। কোম্পানির ১১ কোটি ৮৬ লাখ ৬৬ হাজার ৮০০টি শেয়ার রয়েছে।
মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালক ৩৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশ, বিদেশি শূন্য দশমিক ৩২ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৪৮ শতাংশ শেয়ার।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশ কোম্পানির মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল লিমিটেড। গতকাল শেয়ারদর ৯ দশমিক ১৮ শতাংশ বা ৯০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১০ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১০ টাকা ৬০ পয়সা। দিনজুড়ে ৯৭ লাখ ৫২ হাজার ৭২৪টি শেয়ার দুই হাজার ৩৯৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১০ কোটি ১৭ লাখ ২১ হাজার টাকা। শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৯ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১০ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর সাত টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১৩ টাকা ১০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশ কোম্পানির মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ডেল্টা স্পিনার্স লিমিটেড। গতকাল শেয়ারদর আট দশমিক শূন্য চার শতাংশ বা ৯০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১২ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১২ টাকা ১০ পয়সা। দিনজুড়ে ৬২ লাখ ৬৬ হাজার ৯৭২টি শেয়ার এক হাজার ৫৬৭ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর সাত কোটি ৩৮ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১১ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১২ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর সাত টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১৩ টাকা ২০ পয়সায় ওঠানামা করে।
Add Comment