নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) গেইনারের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। সপ্তাহ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২৯ দশমিক ১৯ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, সপ্তাহজুড়ে প্রতিদিন গড়ে কোম্পানিটির ১৬ কোটি ৬৯ লাখ ৬৮ হাজার ৭৫০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল এবং সপ্তাহ শেষে কোম্পানিটির সর্বমোট ৬৬ কোটি ৭৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
উল্লেখ্য, আর্থিক খাতের কোম্পানিটি ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানির শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের চেয়ে ছয় দশমিক ৬৭ শতাংশ বা এক টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২৪ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৩ টাকা ৯০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২১ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৪ টাকা ২০ পয়সার মধ্যে হাতবদল হয়। ওইদিন ৭৪ লাখ ৮৮ হাজার ২৫২টি শেয়ার মোট এক হাজার ৮৭৯ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৭ কোটি ৩৬ লাখ দুই হাজার টাকা। গত এক বছরে শেয়ারদর ৯ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ২৪ টাকা ২০ পয়সার মধ্যে হাতবদল হয়। কোম্পানির ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১২৫ কোটি ৮৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৩২ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ১৫ টাকা ৯৪ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৪ মে সকাল সাড়ে ১০টায় বিসিআইসি অডিটরিয়াম, ৩০-৩১ দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকায় এজিএম অনুষ্ঠিত হবে।
কোম্পানিটি ২০০৭ সালে তালিকাভুক্ত হয়। ২০১৫ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। যা আগের বছর ছিল পাঁচ শতাংশ নগদ। ওই সময় কোম্পানির ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৭০ পয়সা এবং এনএভি ছিল ১৫ টাকা ৬০ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল ৯৪ পয়সা ও ১৪ টাকা ৪৯ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ১৯ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এটি আগের বছর ছিল ১০ কোটি ৭৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাতে ৪৫ দশমিক শূন্য ছয় এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১৮ দশমিক ১১।
কোম্পানিটির মোট ১২ কোটি ৫৮ লাখ ৬৭ হাজার ৪৭৫টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ২৫ দশমিক ১৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ১৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ ও ৫৮ দশমিক ১৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের শেয়ারদর বেড়েছে ২০ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে তিন কোটি ১৭ লাখ ১৪ হাজার ৭৫০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে ১২ কোটি ৬৮ লাখ ৫৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রডাকস লিমিটেডের ১৩ দশমিক ২১ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে তিন কোটি চার লাখ ৭৩ হাজার ২৫০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে ১২ কোটি ১৮ লাখ ৯৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছেÑফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের শেয়ারদর বেড়েছে ১২ দশমিক ৮০ শতাংশ। রূপালী ব্যাংকের ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সে ১১ দশমিক ৪৯ শতাংশ, রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুডসে ১৩ দশমিক ২১ শতাংশ, রূপালী ব্যাংকে ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ, ন্যাশনাল ফিডে ১১ দশমিক ১৬ শতাংশ, আমরা টেকনোলজিতে ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ, ইউনিয়ন ক্যাপিটালে আট দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং ওয়ান ব্যাংকে আট দশমিক ৭৮ শতাংশ দর বেড়েছে।