Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 3:24 am

দর বাড়ে একযোগে কমেও একই ধারায়

প্রতি রবি থেকে বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে এনটিভি ‘মার্কেট ওয়াচ’ অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করে। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনায় তার গুরুত্বপূর্ণ অংশ নিয়ে শেয়ার বিজের নিয়মিত আয়োজন ‘এনটিভি মার্কেট ওয়াচ’ পাঠকের সামনে তুলে ধরা হলো:

পুঁজিবাজারে বর্তমানে কিছুটা দর সংশোধন হচ্ছে, তবে হতাশ হওয়ার মতো পরিস্থিতি আসেনি। তাছাড়া দু-এক মাস এমন যেতেই পারে। দেশের পুঁজিবাজারে একটি বড় সমস্যা হচ্ছে, যখন দর বা সূচক বাড়া শুরু করে তখন ভালো-খারাপ সব শেয়ারেরই দর বাড়তে শুরু করে। আবার যখন কোনো কারণে বাজার ধীরগতির হয়, তখন ভালো-খারাপ সব শেয়ারেরই দরপতন হয়। এ ব্যাপারে বিনিয়োগকারীদের আরও সচেতন হওয়া দরকার। এছাড়া গত কিছু দিনে অনেক শেয়ারের দর অতিমূল্যায়িত অবস্থায় চলে গিয়েছিল। সেগুলো আবার সমন্বয় হয়ে একটি পর্যায়ে আসছে। এখন এসব শেয়ারে বিনিয়োগ করার উত্তম সময়। গতকাল এনটিভির মার্কেট ওয়াচ অনুষ্ঠানে বিষয়গুলো আলোচিত হয়। হাসিব হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন বিএমএসএলের সিইও রিয়াদ মতিন ও সুপারস্টার গ্রুপের সিএফও মো. শফীকুল আলম, এফসিএ, এফসিএমএ।

রিয়াদ মতিন বলেন, পুঁজিবাজার একটি নিয়মের মধ্য দিয়ে চলে। এ বছরের শুরুতে বাজার বেশ ভালো অবস্থায় ছিল। দু-তিন দিন ধরে কিছুটা ধীরগতিতে আছে। তবে বাজারের বর্তমান অবস্থা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। এটি বাজারের স্বাভাবিক আচরণ। তাছাড়া বাজার পড়েই কিন্তু ওঠার জন্য। পতনের সময় ভালো শেয়ারগুলোর দর কী অবস্থায় আছে তা দেখে বিনিয়োগ করাই উত্তম বলে মনে করি। অনেক শেয়ারের দর অতিমূল্যায়িত অবস্থায় চলে গিয়েছিল। সেগুলো আবার সমন্বয় হয়ে একটি পর্যায়ে আসছে। জানুয়ারির ১৫ তারিখের দিকে অনেক কোম্পানির দ্বিতীয় প্রান্তিকের ঘোষণা এবং অনেক কোম্পানির বছর শেষের ঘোষণা আসবে। তখন প্রান্তিক প্রতিবেদনও আসতে শুরু করবে। আর একে কেন্দ্র করেও অনেক সময় বাজার কিছুটা ওঠানামা করে।

মো. শফীকুল আলম বলেন, সর্বশেষ পাঁচ বছরের মধ্যে ২০১৭ সালে মানি মার্কেটে ঋণ ও আমানতের সুদের হার ছিল সর্বনি¤œ। মানে বিনিয়োগ করলে সবচেয়ে কম রেটে ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা পাওয়া গিয়েছিল ২০১৭ সালে। কিন্তু শেষের দিকে এসে নভেম্বর-ডিসেম্বরে ব্যাংক খাতে কিছুটা অস্থিরতা কাজ করেছিল। আর এটি খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। যে কোনো অর্থনীতিতেই ওঠানামা থাকে। ২০১৭ সালে সর্বনি¤œ রেট থাকলেও এটি ধীরে ধীরে বাড়বে এবং তার একটি আভাস আমরা ইতোমধ্যেই ব্যাংক থেকে পাচ্ছি। রফতানি বাড়ছে রেমিট্যান্সও আসছে, কিন্তু টাকার মান কমে যাচ্ছে বা কমানো হচ্ছে। এই পৃথক পৃথক ইস্যুগুলো যদি একত্র করা যায়, তাহলে পুঁজিবাজারে যে প্রবৃদ্ধি ছিল সেটি টিকে থাকবে বলে মনে করি। যদিও বাজারে কিছুটা দর সংশোধন হচ্ছে এবং এতে বাজার নিয়ে হতাশ হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি আসেনি। তাছাড়া পুঁজিবাজারে দু-এক মাস এমন যেতেই পারে। দেশের পুঁজিবাজারে একটি সমস্যা হচ্ছে, যখন দর বা সূচক বাড়া শুরু করে তখন ভালো-খারাপ সব শেয়ারেরই দর বাড়তে শুরু করে। আবার যখন কোনো কারণে বাজার ধীরগতির হয় তখন ভালো-খারাপ সব শেয়ারেরই দরপতন হয়। এ ব্যাপারে বিনিয়োগকারীদের আরও সচেতন হওয়া দরকার বলে মনে করি। বাংলাদেশে বেশ কিছু ভালো শেয়ার আছে, যেখানে সব সময়ই বিনিয়োগ করা যায় এবং এগুলো থেকে লোকসান হবে না। আর এখন পর্যন্ত বাজারে ওই শেয়ারগুলোতে বিনিয়োগ করার উত্তম সময় বলে মনে করি।

 

শ্রুতি লিখন: রাহাতুল ইসলাম