Print Date & Time : 26 June 2025 Thursday 12:45 pm

দর বৃদ্ধিতে এগিয়ে ছোট মূলধনি কোম্পানি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল প্রথমার্ধে সূচক ইতিবাচক থাকলেও শেষার্ধে বিক্রির চাপে ক্রমশ সূচকের পতন হয়। ডিএসইর প্রধান সূচক ৪০ পয়েন্ট কমলেও বেড়েছে বেশিরভাগ শেয়ারদর। গতকাল প্রায় ৪৬ শতাংশ শেয়ারদর ইতিবাচক ছিল। কমেছে ৪৪ শতাংশের। বড় মূলধনি কোম্পানি বিশেষ করে ব্যাংক খাত ও গ্রামীণফোনের বড় ধরনের দরপতনের কারণে সূচকের পতন হয়। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল প্রকৌশল ও বস্ত্র খাতে। এ দুই খাতের অধিকাংশ কোম্পানি ছোট মূলধনি।
গতকাল সবচেয়ে বেশি ১৯ শতাংশ বা প্রায় ৮৫ কোটি টাকা লেনদেন হয় প্রকৌশল খাতে। এ খাতের ৬৬ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। বিবিএস কেব্লসের ১৬ কোটি টাকার, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড ১৩ কোটি, বিএসআরএম ১১ কোটি ও নাভানা সিএনজির সাড়ে ১০ কোটি টাকার শেয়ার বেচাকেনা হয়ে লেনদেনে নেতৃত্ব দেয়। বস্ত্র খাতে লেনদেন হয় ১৫ শতাংশ বা সাড়ে ৬৭ কোটি টাকা। এ খাতের কুইন সাউথ টেক্সটাইল ও প্রাইম টেক্সের দর প্রায় ১০ শতাংশ, এইচআর টেক্স আট শতাংশ, রিজেন্ট টেক্সের দর সাত শতাংশ বেড়েছে। ব্যাংক এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয় ১৩ শতাংশ করে। ব্যাংক খাতে মাত্র ২০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। এ খাতের এবি ব্যাংক সর্বশেষ আর্থিক বছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণায় ব্যর্থ হয়। এর প্রভাব পড়ে ব্যাংক খাতে। এ খাতে বিক্রির চাপ বেড়ে যাওয়ায় পুরো বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ব্র্যাক ব্যাংকের প্রায় ১৩ কোটি টাকার লেনদেন হলেও দর কমেছে তিন টাকা ১০ পয়সা। ওষুধ ও রসায়ন খাতে ৪৮ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে অ্যাডভেন্ট ফার্মা। এ খাতের স্কয়ার ফার্মার প্রায় ১১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। বিবিধ খাতে লেনদেন কমলেও এ খাতের বেক্সিমকোর প্রায় ৩১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। তবে বিক্রির চাপে শেয়ারটির দর কমেছে ৮০ পয়সা। এছাড়া আর্থিক খাতের ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিংয়ের সাড়ে ১৬ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেনের পাশাপাশি দর বেড়েছে দুই টাকা ৫০ পয়সা। গতকাল তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের শতভাগ বা আটটি কোম্পানির দরই বেড়েছে। এছাড়া খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ৬৬ শতাংশ, বিমা খাতে ৫৪ শতাংশ শেয়ারদর ইতিবাচক ছিল।