নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গতকাল উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। এদিন পুঁজিবাজারের সব সূচক বেড়েছে। সেই সঙ্গে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। তবে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে উঠে এসেছে কাগজ ও মুদ্রণ খাতের শেয়ার। ফলে আলোচিত খাতটিতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এর আগে আলোচ্য খাতে আগের দুই কার্যদিবস শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছিল। এরপর দর বৃদ্ধির দিক থেকে গতকাল দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিমা খাত। গতকাল শেয়ারদর বৃদ্ধির দিক থেকে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে যথাক্রমে ছিল ট্যানারি এবং সিমেন্ট খাত। এদিকে গতকাল মিউচুয়াল ফান্ড, আর্থিক, ওষুধ ও রসায়ন এবং প্রকৌশল খাতের শেয়ারদরে কোনো পরিবর্তন হয়নি।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল আগ্রহ বেশি থাকা কাগজ খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। এদিন খাতটিত মোট ৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৫টি কোম্পানির এবং ১টি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিমা খাতে গতকাল দর বেড়েছে ১ দশমিক ৬০ শতাংশ। খাতটিতে গতকাল মোট ৫৫টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ২৫টির শেয়ারদর বেড়েছে এবং বাকি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল।
গতকাল দর বৃদ্ধির দিক থেকে তৃতীয় স্থানে থাকা ট্যানারি খাতে দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। আলোচ্য খাতে গতকাল ৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ১টি দর বেড়েছে এবং বাকি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। দশমিক ৫০ শতাংশ দর বৃদ্ধি নিয়ে গতকাল চতুর্থ স্থানে ছিল সিমেন্ট খাতের শেয়ার। খাতটিতে গতকাল মোট ৭টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে এবং বাকিগুলোর শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল।
এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় সবচেয়ে বেশি শেয়ারদর কমেছে ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে। খাতটিতে গতকাল শেয়ারদর কমেছে ১ দশমিক ৬০ শতাংশ। খাতটিতে গতকাল মোট ৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে এবং ২টির শেয়ারদর কমেছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে ছিল পাট খাত। খাতটিতে গতকাল শেয়ারদর কমেছে দশমিক ৯০ শতাংশ। দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ারদর কমে গতকাল তৃতীয় স্থানে ছিল আইটি খাত।
অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওষুধ খাতে। খাতটিতে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৭ দশমিক ১০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ লেনদেন হওয়া বিবিধ খাত রয়েছে তৃতীয় স্থানে। গতকাল চতুর্থ স্থানে থাকা জীবন বিমা খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৭ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল ডিএসইতে ৪৮৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের দিন ডিএসইতে ৪৪৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। সে হিসাবে গতকাল ডিএসইতে ৩৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
গতকাল ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ২৪৫ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক দশমিক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৭০ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২১৬ পয়েন্টে। ডিএসইতে গতকাল ৩১৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬১টির, কমেছে ২৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩৪টির।
অন্য বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। সিএসই সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১১ পয়েন্ট বেড়েছে। গতকাল সিএসইতে ৭ কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।