Print Date & Time : 30 June 2025 Monday 2:00 am

দর বৃদ্ধির শীর্ষে মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল টপটেন গেইনার বা দর বাড়ার শীর্ষে উঠে এসেছে বিবিধ খাতের কোম্পানি মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। আর কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে শেয়ারদর ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ বা দুই টাকা ৬০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২৯ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ২৯ টাকা। ওইদিন কোম্পানিটির ২৫ লাখ ৬৪ হাজার ৩৪৩টি শেয়ার মোট এক হাজার ৭৩৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর সাত কোটি ২৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা। আর দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৯ টাকায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ১৪ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৩৪ টাকা ৩০ পয়সায় ওঠানামা করে।

চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। আর এ বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান দাঁড়িয়েছে এক টাকা ২৫ পয়সা। এছাড়া কোম্পানিটির চলতি মূলধন সংকটের জন্য গত অক্টোবর থেকে কারখানা বন্ধ রয়েছে। আর বর্তমান এ পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণের জন্য চেষ্টার পাশাপাশি আগামী জানুয়ারি থেকে পুনরায় কার্যক্রম চালু করতে পারবে বলে আশা করছেন কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ।

প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে এক টাকা ২৫ পয়সা, আগের বছর একই সময় শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ২৮ পয়সা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় এক টাকা ৫৩ পয়সা কমেছে। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৩৭ টাকা ৬১ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে তারিখে ছিল ৩৮ টাকা ৮৫ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা ৪৯ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা ৭২ পয়সা।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি চার শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ২৩ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকা ৮৫ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে পাঁচ টাকা ৯৭ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২১ ডিসেম্বর বেলা ২টা ৩০ মিনিটে কারখানা প্রাঙ্গণে (গিলারচালা, গিলা বেরাইদ, শ্রীপুর, গাজীপুর) বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।

কোম্পানিটি ২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৫ কোটি ২১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৯৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটির তিন কোটি ৫২ লাখ ১৮ হাজার ৫৭টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩০ শতাংশ শেয়ার আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে বাকি ৭০ শতাংশ শেয়ার।