রুবাইয়াত রিক্তা: করোনার প্রভাবে আগামী দিনগুলোয় অর্থনীতিতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুংক্ত কোম্পানিগুলোর উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থেকে গতকাল পুঁজিবাজারে ভয়াবহ পতন হয়েছে। ২০১৩ সালে ডিএসইএক্স সূচক চালু হওয়ার পর গতকাল সবচেয়ে বড় ২৭৯ পয়েন্ট পতনের কবলে পড়ল বাজার। এর ফলে ৯৯ শতাংশ কোম্পানি দর হারিয়েছে। দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের তালিকা সম্পন্ন হতে পারেনি। ডিএসইর তথ্য অনুসারে, দু-চারটি কোম্পানির দর বেড়েছে। ডিএসইর মার্কেট স্ট্যাটিসটিকস অপশনে দুটি কোম্পানির হিসাব দেওয়া হলেও টপ টেন গেইনার তালিকায় শুধু মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের নাম দেখা গেছে। আরেক অপশনে আর্থিক খাতের বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, বস্ত্র খাতের হা-ওয়েল টেক্সটাইল এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের সি পার্ল রিসোর্টের নাম পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বিজিআইসির দর ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের তিন দশমিক ২২ শতাংশ, হা-ওয়েল টেক্সটাইলের তিন শতাংশ, সি পার্ল রিসোর্টের দর এক দশমিক ৩৬ শতাংশ বেড়েছে।
বহুজাতিক কোম্পানি হওয়ার পথে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। এ খবরেও বাড়েনি শেয়ারটির দর। ১৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়ে শীর্ষে উঠে এলেও দরপতন হয় ১২ টাকা ৩০ পয়সা। এছাড়া বড় মূলধনি গ্রামীণফোনের ১৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা লেনদেন হলেও দরপতন হয় ১৫ টাকা ২০ পয়সা। সিমেন্ট খাতের লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের ১১ কোটি ৮১ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দরপতন হয় তিন টাকা ৩০ পয়সা। জ্বালানি খাতের সামিট পাওয়ারের ১০ কোটি ৪০ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দরপতন হয় এক টাকা ৩০ পয়সা। দর বৃদ্ধি পাওয়া সি পার্ল রিসোর্টের ১০ কোটি ২৯ লাখ টাকা লেনদেন হয়। ব্র্যাক ব্যাংকের ৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা লেনদেন হলেও দরপতন হয় ৩ টাকা ১০ পয়সা। ব্যাংক এশিয়ার আট কোটি টাকা লেনদেন হয়। দরপতন হয় তিন টাকা ১০ পয়সা। ওষুধ খাতের ওরিয়ন ইনফিউশনের সাড়ে আট কোটি টাকা লেনদেনের পাশাপাশি দরপতন হয় সাত টাকা ৬০ পয়সা। ওরিয়ন ফার্মার ছয় কোটি ৭৬ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দরপতন হয় তিন টাকা ৬০ পয়সা। করোনা আতঙ্কে বাজারে বড় পতন হলেও আশার কথা, মৌলভিত্তির ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোও বড় দরপতনের কবলে পড়েছে। এসব শেয়ারের দর সাধারণ বিনিয়োগকারীর নাগালের মধ্যে চলে এসেছে। তাই সুযোগ থাকলে এসব শেয়ারে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীদের লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে।