দাপটে বিমা খাত

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে সূচক বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবারের লেনদেন শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে আগের দিনের তুলনায় টাকার অঙ্কে লেনদেন বেড়ে ৯০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচক বৃদ্ধিতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও শেয়ার কেনার চাপ বেশি ছিল বিমা খাতের শেয়ারে। ফলে খাতটিতে শেয়ারদর বেশি বেড়েছে। এ নিয়ে আলোচ্য খাতটিতে টানা উত্থান অব্যাহত রয়েছে। তাই বিনিয়োগকারীদের কাছে এ খাতের দাপট বেড়েছে বলে জানা গেছে। অপরদিকে এদিন বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহ ছিল আইটি খাতের শেয়ারে। এতে আলোচ্য খাতটিতে শেয়ারদরের বেশি পতন হয়েছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল বিমা খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ৪ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৫৭টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৪৭টির দর বেড়েছে এবং ৮টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে ছিল পাট খাতের শেয়ার। এ খাতের দর বেড়েছে ১ শতাংশ। খাতটিতে মোট ৩টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে সবগুলোর দর বেড়েছে। ১ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় স্থানে ছিল সিরামিক খাত। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, ওষুধ ও রসায়ন এবং আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ থাকায় আইটি খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে ১ দশমিক ৮০ শতাংশ। এরপর রয়েছে ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের শেয়ার। খাতটিতে শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে।

অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিমা খাতে। খাতটিতে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩১ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা বিবিধ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ২০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ লেনদেন হওয়া বস্ত্র খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে ৯৩২ কোটি ৯১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের দিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৭১১ কোটি ৯৮ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৫৩টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১১৫টি এবং কমেছে ৫৭টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ১৮১টির। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৯০ দশমিক ১৯ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ১ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক দশমিক ২৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ১৯৫ দশমিক ২৮ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৬৮ দশমিক ২৪ পয়েন্টে।

অপরদিকে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৭৩ টাকার শেয়ার। আগের দিন ১৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৭৬টি, কমেছে ৪৫টি এবং পরিবর্তন হয়নি ৯০টির।

এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ২৫ দশমিক ২৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৩০ দশমিক ৪৪ পয়েন্টে। সিএসই-৫০ সূচক দশমিক ২৬ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ৪ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট এবং সিএসসিএক্স ১৬ দশমিক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩১৬ দশমিক ১৩ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৪৪৭ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্টে এবং ১১ হাজার ৯৪ দশমিক ১৩ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসআই সূচক দশমিক ৫৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৬৭ দশমিক ১৯ পয়েন্টে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০