নিজস্ব প্রতিবেদক : বিমা খাতের কোম্পানি পিপলস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (ক্রিসেল)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যমতে, কোম্পানিটি দাবি পরিশোধের সক্ষমতায় (সিপিএ) রেটিং পেয়েছে ‘এএ মাইনাস’। কোম্পানিটির ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে শেয়ারদর পাঁচ দশমিক ২২ শতাংশ বা দুই টাকা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৪০ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৪০ টাকা ৭০ পয়সা। দিনজুড়ে ৪০ লাখ ৪৭ হাজার ৩৬২টি শেয়ার মোট দুই হাজার ৭৭৭ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৬ কোটি ২৪ লাখ ১০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪১ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৩ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৪১ টাকা ৮০ পয়সায় ওঠানামা করে।
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে আট শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে পিপলস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। ওই সময় কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) করে এক টাকা ৮৭ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়ায় ২৭ টাকা ১৪ পয়সা। এর আগে ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ছয় শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। ওই সময় কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) করে এক টাকা ৫৬ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়ায় ২৫ টাকা ৮৭ পয়সা।
কোম্পানিটি ১৯৯০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ২০০ কোটি অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪৬ কোটি ২০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির চার কোটি ৬২ লাখ শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ২৭ দশমিক ৪১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ১৭ দশমিক ৯০ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৫৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ শেয়ার।