সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততা একজন শিক্ষার্থীকে সুস্থ ও সুন্দরভাবে বিকশিত হতে সহায়তা করে। এ বিষয়টিকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ধ্বনি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ‘আবৃত্তি ও প্রমিত উচ্চারণ’ চর্চার এ সংগঠনটিকে নিয়ে লিখেছেন এএম আরিফ
অ, আ, ই, উ, এ, এ্যা…। মনকে বলো মোন্, নদীকে বলো নোদী, আহ্বান নয় উচ্চারণ হবে আওবান। প্রতিদিন বিকালে এভাবে শোনা যায় শব্দ উচ্চারণের অবিরাম প্রচেষ্টা আর আবৃত্তির ঝঙ্কার। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ‘আবৃত্তি ও প্রমিত উচ্চারণ’ চর্চার একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন ধ্বনি’র কর্মকাণ্ড এমনই।
১২ অক্টোবর ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এ সংগঠন। ক্যাম্পাসের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনের নয় নম্বর কক্ষ তাদের ঠিকানা। শিল্পচর্চার মাধ্যমে সুন্দর পৃথিবীর স্বপ্ন দেখে ধ্বনি। তাই তো তাদের সেøাগান, ‘দিগন্তে চলো শব্দ যেথায় সূর্যসত্য’।
পড়ালেখার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততা একজন শিক্ষার্থীকে সুস্থ ও সুন্দরভাবে বিকশিত হতে সহায়তা করে। এ বিষয়টিকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ধ্বনি। আবৃত্তি চর্চার মাধ্যমে সুন্দর মন গড়ে তোলার চেষ্টায় তাদের কোনো কমতি নেই। দেশের বিভিন্ন
জাতীয় আবৃত্তি উৎসব ও সাংস্কৃতিক উৎসবে অংশ নেয় সংগঠনের সদস্যরা। বছরজুড়ে নানা আয়োজনে ক্যাম্পাস মাতিয়ে রাখে এর সদস্যরা। বছরের শুরুতে নবীন শিক্ষার্থীদের কবিতার মন্ত্রে সংবর্ধনা দেয় তারা। শিক্ষার্থীদের শুদ্ধ উচ্চারণ শেখানোর জন্য দেশের আবৃত্তি শিল্পীদের নিয়ে তিন মাসব্যাপী ‘আবৃত্তি ও বাক-উৎকর্ষ’ বিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করে। এর বাইরে তিন দিনব্যাপী আবৃত্তি উৎসবের আয়োজন ও গুণী শিল্পীদের সম্মাননা দেয়। নানা দিবস উপলক্ষে আবৃত্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন তো আছেই।
আরও কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে মাসিক কবিতা পাঠের আসর, মাসিক পাঠচক্র, জ্বালো ঐতিহ্যের আলো ও বিজয় আমার স্বাধীনতা। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ধ্বনি একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন শুধু নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলনেরও নাম।
ধ্বনির পদযাত্রা নিয়ে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আতিক আকবর বলেন, আমরা কবিতার মাধ্যমে মানুষের সমস্যা তুলে ধরে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে চাই। সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি সাইফুল ইসলাম আকাশ বলেন, প্রগতিশীল শিল্পচর্চার একটি মাধ্যম আবৃত্তি। ধ্বনি এটা নিয়ে কাজ করে।