নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ অশান্তি সৃষ্টি করলে বিএনপি দাঁড়াতে পারত না। বিএনপি আবারও ভুল পথে হাঁটছে। দিনক্ষণ-তারিখ দিয়ে আন্দোলন হয় না। দিনক্ষণ দিয়ে আন্দোলনের ডাক দিলে সেই আন্দোলন খাদে গিয়ে পড়ে। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজকের বর্ধিত সভার গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক। আন্দোলন সংগ্রাম করে এই পার্টি একাধারে ১৫ বছর ক্ষমতায়। খালেদা জিয়া একসময় বলেছিলেন আওয়ামী লীগ ১০০ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এখন আমরা ক্ষমতায় আছি। সংগ্রাম আন্দোলন করে আমরা এতদূর পথ এসেছি। বন্দুকের নল যাদের ক্ষমতার উৎস, তারা আমাদের ক্ষমতার ভয় দেখান। বিএনপি গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য লড়াই করছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি প্রহসনের নির্বাচন করেছে। ভুয়া ভোটার লিস্ট তৈরি করেছে। যারা গণতন্ত্রকে গলা টিপে মেরেছে, সেই দলের লজ্জা হওয়া উচিত। গত এক বছর ধরে শান্তি সমাবেশ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ অশান্তি চাইলে এতগুলো সমাবেশ কী করতে পারত? ক্ষমতাসীন দল হয়ে দলের কর্মীরা ধৈর্যের পরীক্ষা দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের মনে অনেক বেদনা আছে। কারণ বঙ্গবন্ধু হত্যার মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমান।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার ছেলে মারা যাওয়ার সময় শেখ হাসিনা শোক জানাতে গিয়েছিল, কিন্তু কর্ণপাত করেনি। একুশে নভেম্বর শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। সেই দলের সঙ্গে কীভাবে সমঝোতা করি? আওয়ামী লীগের আমলে কি বিএনপির কোনো নেতাকে হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হয়েছে?
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে মানুষের সেবা করার জন্য। আওয়ামী লীগ অশান্তি করবে না, কেউ যদি অশান্তি করতে চায় তাদের খবর আছে। সহ্য অনেক করেছি সহ্যের একটা সীমা আছে। অশান্তি হলে ছাড় দেয়া হবে না। ভয় আমাদের দেখাবেন না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতাদের এখনই আসা শুরু করেছে, আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে উঠছে। বিএনপি রঙিন স্বপ্ন দেখছে। ফাঁপা বেলুন চুপসে যাবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমদের সভাপতিত্বে বিশেষ বর্ধিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস প্রমুখ।