শেয়ার বিজ ডেস্ক: ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে পানির জন্য হাহাকার চলছে। বিশুদ্ধ পানির অভাবে নাজেহাল দশা এখানকার বেশিরভাগ এলাকার মানুষের। আগামী কয়েক দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা দিল্লির মন্ত্রী অতিশী মারলেনার। খবর: আনন্দবাজার পত্রিকা।
বিষয়টি নিয়ে অতিশী দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনার সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকের সময় চেয়েছেন। এক্সে দেয়া এক পোস্টে অতিশী জানিয়েছেন, মুনক খালের মাধ্যমে এক হাজার ৫০ কিউসেক পানি পাওয়ার কথা দিল্লির। কিন্তু সেই পরিমাণ পানি ছাড়া হচ্ছে না। এর পরিবর্তে ৮৪০ কিউসেক পানি দেয়া হচ্ছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, রোববার থেকে পানির পরিমাণ বৃদ্ধি করার কথা। অথচ তা হয়নি। ফলে আগামী দু-এক দিনের মধ্যে দিল্লির পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
তাই লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে দেখা করে বিষয়টি আলোচনা করার জন্য সময় চেয়েছেন অতিশী। লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার হিমাচল প্রদেশ ও হরিয়ানা সরকারকে দিল্লির জন্য পানি ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। একদিকে দিল্লিজুড়ে তাপপ্রবাহ চলছে, তার মধ্যে পানির সংকট ভয়ংকর পর্যায়ে পৌঁছেছে।
দিল্লির আম আদমি পার্টির (আপ) সরকার এই পরিস্থিতির জন্য হরিয়ানা সরকারকে দায়ী করছে। আপের অভিযোগ, হরিয়ানা সরকার যমুনায় পানি ছাড়ার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। এজন্যই দিল্লিজুড়ে হাহাকার দেখা দিয়েছে। দিল্লির পানির উৎস মূলত যমুনা, ইরাবতী, বিপাশা ও গঙ্গা।
উত্তরপ্রদেশের আপার গঙ্গা খালের মাধ্যমে ৪৭০ কিউসেক পানি পায় দিল্লি। হরিয়ানা থেকে দুটি খাল দিল্লিতে ঢুকেছে। একটি ক্যারিয়ার লাইনড চ্যানেল এবং অন্যটি দিল্লি সাব ব্রাঞ্চ। যমুনা, ইরাবতী এবং বিপাশার জল এই দুটি খালের মাধ্যমে দিল্লিতে আসে।
অতিশী জানান, সুপ্রিম কোর্ট এই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছে। হিমাচল প্রদেশে আরও বেশি পানি দেয়ার জন্য রাজি হয়েছে। কিন্তু হরিয়ানা সরকার সহযোগিতা করছে না।