নিজস্ব প্রতিবেদক: চার দিনের সফরে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে গেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। গতকাল সকালে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেছেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান।
মাসুদ বিন মোমেন বুধবার সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে। এর বাইরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সূচি থাকার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেখানে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে একটি চিঠি আছে, সেটিও আমরা দেব।’ হাইকমিশনের বিভিন্ন আয়োজনের পাশাপাশি দিল্লিতে অবস্থানরত রাষ্ট্রদূতদের ব্রিফ করার পরিকল্পনার কথাও জানান মোমেন।
তিনি বলেন, ‘দিল্লিতে ৮০টার ওপরে হাইকমিশনার রাষ্ট্রদূত আছেন, যারা একইসঙ্গে বাংলাদেশেও দায়িত্ব পালন করেন। তাদের সঙ্গেও একটা ব্রিফিং আছে। করোনার কারণে তারা অনেক দিন আসতে পারেননি। আমাদের লেটেস্ট যে জিনিসগুলো আছে, তাদের জানিয়ে রাখা দরকার।’
দ্বিপক্ষীয় প্রায় সব বিষয় নিয়ে সফরে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘দুই প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল সামিটের যে যৌথ ঘোষণা আছে, তার মধ্যে ফলো-আপগুলো নিয়েও আমরা আলোচনা করব।’
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের আয়োজনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসার কথা। সেই সফরের নানা দিক আলোচনায় থাকবে বলে জানান তিনি।
সচিব বলেন, ‘হয়তো এক দিন আগে আসবেন। আমাদের ন্যাশনাল প্রোগ্রামগুলোয় তার জন্য কোন কোন প্রোগ্রাম আমরা ডেভেলপ করতে পারি এবং অন্যান্য কী হতে পারে, সেগুলো নিয়েও আমরা বিশদ আলোচনা করব।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় বৈঠকও থাকবে। আমাদের বেশ কিছু অগ্রগতি আছে, কানেক্টিভিটির ক্ষেত্রে কিছু প্রকল্প শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আমাদের দিক থেকে স্বাধীনতা সড়কের বিষয়টি রয়েছে। এগুলো উদ্বোধন বা চালু করার কথা রয়েছে।’
পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে সচিব বলেন, ‘তিস্তার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে অন্যান্য নদীর পানি বণ্টন নিয়ে কাজ করতে চায় দুই দেশ। সেটার কিছু অগ্রগতিও হয়েছে। আমাদের আশা, তিস্তার ব্যাপারে একটা সুরাহা তারা করে দেবে। আমরা জানি, এক্ষেত্রে তাদের পজিশন কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার পুরোপুরি একমত হতে পারেনি।’ সফর শেষে ৩১ জানুয়ারি ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে পররাষ্ট্র সচিবের।