নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ন্যাশনাল ক্রেডিট রেটিংস লিমিটেড (এনসিআর)। আর কোম্পানিটি তাদের প্রাপ্ত রেটিং গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে স্টেকহোল্ডারদের জানিয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটি দীর্ঘমেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এ’ এবং স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-৩’। ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৮ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৩ পয়সা। অর্থাৎ প্রথমার্ধের হিসাবে শেয়ারপ্রতি আয় ১৫ পয়সা কমেছে। অন্যদিকে দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ২০ পয়সা। অর্থাৎ শুধু দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ১০ পয়সা। এছাড়া ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৩৯ পয়সা, যা ২০২২ সালের ৩০ জুনে ছিল ১৮ টাকা ২১ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১০ পয়সা (লোকসান), আগের বছর একই সময়ে ছিল এক টাকা ৭৩ পয়সা (লোকসান)।
সর্বশেষ কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ব্যতীত শুধু সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৭ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ২১ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ৯৯ পয়সা। এর আগের বছরেও কোম্পানিটির ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সে সময়ে তাদের ইপিএস হয়েছিল ২০ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ এনএভি দাঁড়িয়েছিল ১৮ টাকা ৭ পয়সা। আর আলোচিত হিসাববছরে তাদের শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছিল ৫৩ পয়সা।
কোম্পানিটি ২০১১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৬১ কোটি ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ছয় কোটি ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ১৫০টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৬১ শতাংশ বা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১৬ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর কোম্পানিটির ৫ হাজার ৪৩২টি শেয়ার মোট ১৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৯০ হাজার টাকা। ওই দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ও সর্বোচ্চ ১৬ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ১৬ টাকা ২০ পয়সা থেকে ২৩ টাকা ৩০ পয়সায় ওঠানামা করে।