Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 11:16 pm

দীর্ঘমেয়াদে রেকিট বেনকিজারের ঋণমান ‘এএএ’

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি রেকিট বেনকিজার (বাংলাদেশ) পিএলসির ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (ক্রিসেল)। আর কোম্পানিটির প্রাপ্ত রেটিং স্টেকহোল্ডারদের জন্য প্রকাশ করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটি দীর্ঘমেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএএ’। আর স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-১’। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে চলতি হিসাবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩০ টাকা ১২ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৩১ টাকা ১১ পয়সা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস কমেছে ৯৯ পয়সা। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৬২ টাকা ২২ পয়সা, আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ৬৩ টাকা ২৯ পয়সা। সেই হিসাবে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ইপিএস কমেছে ১ টাকা ৭ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৫৯ টাকা ৯১ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৮ টাকা ৯০ পয়সা (ঘাটতি), যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৮৪ টাকা ১৪ পয়সা।

ওষুধ ও রসায়ন খাতের এ কোম্পানিটি ১৯৮৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ২৫ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন চার কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১১৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট ৪৭ লাখ ২৫ হাজার শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৮২ দশমিক ৯৬ শতাংশ, সরকারি তিন দশমিক ৭৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং বাকি ৫ দশমিক ০৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে শেয়ারদর শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ বা ১১ টাকা ৯০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৪ হাজার ৮০০ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৬৮টি শেয়ার মোট ৫০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর ৪ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ৪ হাজার ৮০১ টাকায় লেনদেন হয়। আর গত এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৩ হাজার ৭৯৯ টাকা থেকে ৫ হাজার ২৭১ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য চূড়ান্ত ৫৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৭৩ টাকা ৬৫ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৫২ টাকা ৬৯ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২৪৭ টাকা ৪১ পয়সা। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য চূড়ান্ত ৯৮০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৩৯ টাকা ৫০ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭৬ টাকা ৮০ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২৭১ টাকা ৬৬ পয়সা।