শেয়ার বিজ ডেস্ক: সারসহ অন্যান্য কৃষিপণ্যের ক্রমবর্ধমান ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় দরিদ্র দেশগুলোয় খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। বিশেষ করে সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা উৎপাদন থেকে বিরত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। খবর: রয়টার্স।
গতকাল বৃহস্পতিবার এফএও’র এক প্রতিবেদনে বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা সম্পর্কে এই সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, কৃষকদের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির সূচক রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে।
গত বছর কিছু দেশে খাদ্যের দামের তুলনায় উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যায়। অনেক কৃষক উৎপাদন ব্যয়ের তুলনায় কম দামে পণ্য বিক্রি করে।
কৃষি উৎপাদনের এসব নেতিবাচক সূচক বাজার-নেতৃত্বাধীন সরবরাহ ব্যবস্থার জন্য ইতিবাচক নয় বলে জানিয়েছে এফএও। এতে বিশ্বজুড়ে ২০২২-২৩ মৌসুমে, এমনকি পরবর্তী সময়ও খাদ্যমূল্য আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।
ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানের কারণে বিশ্বজুড়ে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় কৃষির উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে, যার প্রভাব দেখা গেছে এফএওর খাদ্যের রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি-সংক্রান্ত বৈশ্বিক খাদ্যপণ্য সূচকে।
সংস্থার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মূল্য বৃদ্ধির কারণে চলতি বছর বৈশ্বিক খাদ্য আমদানি বিল তিন শতাংশ বেড়ে রেকর্ড ১ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
তবে মূল্য বৃদ্ধির কারণে উন্নয়নশীল অনেক দেশ খাদ্য আমদানির পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনকি অনুন্নত দেশগুলো তাদের খাদ্য আমদানির বিল একেবারে সর্বনি¤œ পর্যায়ে নামিয়ে আনতে পারে বলেও সতর্ক করেছে এফএও।
সংস্থাটি জানায়, খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় অত্যন্ত উদ্বেগজনক লক্ষণ এগুলো। এতে আমদানিকারকদের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক ব্যয়ে অর্থায়ন করা কঠিন হতে পারে।
এরই মধ্যে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে আফ্রিকা মহাদেশে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় খাদ্য সংকট ঘোষণা করেছে আফ্রিকার দেশ চাদ। চাদের প্রশাসন জানায়, ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে খাদ্যশস্য না আসার কারণে এই সংকট তৈরি হয়েছে। বিশ্ব তাদের পাশে না দাঁড়ালে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নেবে।