বিদেশে বেড়াতে গেলে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয় উড়োজাহাজে কিংবা সড়কপথে। এই দীর্ষ ভ্রমণের ঝক্কি-ঝামেলা পোহানো সবার পক্ষে সম্ভব নয়, অনেকে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। বিশেষ করে অনিন্দ্রাজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। ক্ষুধামান্দ্য, ব্লাড প্রেশারে তারতম্য, খাদ্য পরিপাক ক্রিয়ার বিভিন্ন জটিলতাসহ নানা রোগবালাই হতে পারে। তাই দীর্ঘ ভ্রমণের ক্লান্তি এড়াতে কয়েকটি বিষয় মেনে চলতে হবে।
সঠিক পরিকল্পনা: দীর্ঘ ভ্রমণে যাওয়ার আগে সঠিক পরিকল্পনা করা উচিত। ভ্রমণে যাওয়ার অন্তত এক সপ্তাহ আগে যেন নিয়মিত ঘুম ভালো হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। একই সঙ্গে নিয়মিত শরীরচর্চার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। এ সময়ে ক্যাফেইন ও চর্বিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
সক্রিয় থাকা: বিমানবন্দরে পৌঁছার পর শরীরকে কোথাও এলিয়ে না দিয়ে সক্রিয় থাকার চেষ্টা করতে হবে। শরীরে আলসেমির ভাব হলে বিরক্ত না হয়ে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে। উড়োজাহাজে ওড়ার আগে শরীরের আড়মোড়া ভেঙে নিন। ফলে শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হবে।
স্বাস্থ্যকর খাবার: ভ্রমণের সময় ও গন্তব্যে পৌঁছানোর পর স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত। নানা ধরনের ফল ও শাকসবজি খেতে হবে। আগেই জেনেছেন ক্যাফেইন, লবণ ও চিনিজাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
স্বাস্থ্যকর পানীয়: বিমানে ওঠার পর উত্তেজনা দমিয়ে রাখা উচিত। ফ্রেশ পানি ও ভেষজ চা নিয়ে নিন, যাতে আপনি ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় পরিহার করতে পারেন।
ধ্যান: বিমান ওঠার ২০ মিনিট আগে চোখ বন্ধ করুন। ধ্যান করুন। অবতরণের পরে আবারও এর পুনরাবৃত্তি করুন।
আয়েশ করুন: বিমানে ভ্রমণের সময় মজাদার কোনো সিনেমা দেখুন। অথবা মজাদার কোনো গল্প পড়তে পারেন। গান শুনুন। মনকে শিথিল করে এমন কাজ করা উচিত এ সময়ে।
বিশ্রাম নিন: ঘুমের চেয়ে বিশ্রামকেই বেশি গুরুত্ব দিন। আরামের জন্য এয়ার ফোন বা আই মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।
স্বাভাবিক থাকুন: নতুন স্থানে যাওয়ার পর শরীরের চাহিদা মোতাবেক কাজ করুন। জোর করে ঘুমানোর চেষ্টা না করাই ভালো। বিশ্রাম নিয়ে নতুন স্থানের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন।
ঘড়ির সময় বদল: নতুন জায়গায় যাওয়ার পর স্থানীয় সময় অনুযায়ী ঘড়ির সময় পরিবর্তন করে নিন। একই সঙ্গে দেশের সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে চলার চেষ্টা বাদ দিন।
দীর্ঘ ভ্রমণে ক্লান্তি এড়াতে…
