নিজস্ব প্রতিবেদক: ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি এমবি ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (ক্রিসেল)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এমবি ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড: কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এ’ আর স্বল্প মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এসটি-২’। ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ৩১ মার্চ ২০২০ তারিখ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
কোম্পানিটি ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। আড়াই কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন দুই কোটি ৪০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ তিন কোটি ৩৮ লাখ টাকা। কোম্পানির ২৪ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৭৫ দশমিক ২৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঁচ দশমিক ৬৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ১৯ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ শেয়ার।
এদিকে সর্বশেষ ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৩৮ শতাংশ বা এক টাকা ৭০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৪৫১ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৪৫২ টাকা ৫০ পয়সা। দিনজুড়ে পাঁচ হাজার ৭০৯ শেয়ার মোট ১৬২ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২৬ লাখ টাকা। এক বছরে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩৫৩ টাকা থেকে ৫৪৯ টাকায় হাতবদল হয়।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ৩২৩ দশমিক ২১ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১৪২ দশমিক ৫৯।
স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড: কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএএ’ আর স্বল্প মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এসটি-১’। ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং রেটিং ঘোষণার আগ পর্যন্ত অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
কোম্পানিটি ১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৮৬ কোটি ৪৫ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ছয় হাজার ৭০২ কোটি ১২ লাখ টাকা। কোম্পানির ৮৮ কোটি ৬৪ লাখ ৫১ হাজার ১১ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১২ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ, বিদেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৬ দশমিক ৭২ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৩৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ শেয়ার।
এদিকে সর্বশেষ ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক ২২ শতাংশ বা দুই টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২০৭ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২০৭ টাকা ৬০ পয়সা। দিনজুড়ে আট লাখ ৯১ হাজার ২১০ শেয়ার মোট তিন হাজার আট বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৮ কোটি ৪২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। এক বছরে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৫৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ২২০ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়।