নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে যথাক্রমে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল) ও ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (ক্রিসেল)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড: কোম্পানিটি দীর্ঘমেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএ মাইনাস’ এবং স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-২’। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ বা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ২২ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২২ টাকা ৬০ পয়সা। ওইদিন হভশ লাখ ৩৯ হাজার ২৪৮টি শেয়ার মোট ৫৫৯ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ৬৮ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২২ টাকা ৪০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৩ টাকা ২০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ১৪ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৩২ টাকা ৪০ পয়সায় ওঠানামা করে।
২০১৮ হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর আগে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। বিমা খাতের এ কোম্পানিটি ২০১৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৩৫ কোটি ৪৯ লাখ ২০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির চার কোটি ৪২ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৫০ দশমিক ৫২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক আট দশমিক ছয় শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪১ দশমিক ১২ শতাংশ শেয়ার। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ১১ দশমিক ৩০ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১২ দশমিক ১৫।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড: কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএ প্লাস’ এবং স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-১’। ৩১ মার্চ ২০১৯ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের এ কোম্পানিটি ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৯১০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪০৫ কোটি ৫৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৭৭৫ কোটি ৬৪ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ৪০ কোটি ৫৫ লাখ ৫৬ হাজার ৪৪৫টি শেয়ার রয়েছে।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ বা ৫০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৮৩ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৮৩ টাকা ৯০ পয়সা। ওইদিন এক লাখ সাত হাজার ৬৫৬টি শেয়ার মোট ১৫৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৯০ লাখ পাঁচ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৮২ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৮৪ টাকা ৩০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৭০ টাকা ১০ পয়সা থেকে ৯৩ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে।
দুই কোম্পানির ঋণমান নির্ণয়
