নিজস্ব প্রতিবেদক: আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানি ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের মৃত পরিচালকের শেয়ার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বণ্টন করা হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড: ব্যাংকটির সাবেক উদ্যোক্তা পরিচালক মরহুম রাজিয়া সামাদের নামে থাকা শেয়ার তার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে।
তথ্যমতে, রাজিয়া সামাদ গত বছর নভেম্বর মাসের ১৩ তারিখে মৃত্যুবরণ করেন। ওই সময় তার কাছে কোম্পানির মোট ২২ লাখ ২৮ হাজার ৩৯৫টি শেয়ার ছিল। রাজিয়া সামাদের নামে থাকা মোট শেয়ার থেকে নমিনী জয় সামাদ (পুত্র) ও সালমা সামাদকে (কন্যা) হস্তান্তর করা হবে।
২০০৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির এই ব্যাংকটি। এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ১৬৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ১১৬ কোটি ৫৯ লাখ ছয় হাজার ৮৬১টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের ৫১ দশমিক ৫২ শতাংশ উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের, ৩৩ দশমিক ৯২ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে, শূন্য দশমিক ২৩ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে এবং ১৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।
ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড: কোম্পানিটির সাবেক উদ্যোক্তা মরহুম ফিরোজ আলমের নামে থাকা শেয়ার তার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে।
তথ্যমতে, ফিরোজ আলম গত বছর অক্টোবরের ৫ তারিখে মৃত্যুবরণ করেন। ওই সময় তার কাছে কোম্পানির মোট ২৮ লাখ ১৯ হাজার তিনটি শেয়ার ছিল। কোর্টের আদেশক্রমে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ওই শেয়ার তার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে। ফিরোজ আলমের নামে থাকা মোট শেয়ারের মধ্যে ৯ লাখ ৮৬ হাজার ৬৫১ শেয়ার ফরিদুল আলম (পুত্র), ৯ লাখ ৮৬ হাজার ৬৫১টি শেয়ার ফয়সাল আলম (পুত্র), চার লাখ ৯৩ হাজার ৩২৬টি শেয়ার রিজিনা আলম (কন্যা) ও তিন লাখ ৫২ হাজার ৩৭৫টি শেয়ার ফরিদা আক্তারকে (স্ত্রী) হস্তান্তর করা হবে।
২০০৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানিটি। ২৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৪০ কোটি ৩২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ১৪ কোটি তিন লাখ ২৬ হাজার ৬৭২টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের ৩৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের, ৩০ দশমিক ৫৪ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক ও ৩৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।