নিজস্ব প্রতিবেদক: ইউনাইটেড আনোয়ারা পাওয়ার লিমিটেড এবং ইউনাইটেড জামালপুর পাওয়ার লিমিটেডকে অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, চট্টগ্রামের আনোয়ারায় অবস্থিত ইউনাইটেড আনোয়ারা পাওয়ার লিমিটেড এবং জামালপুরে অবস্থিত ইউনাইটেড জামালপুর পাওয়ার লিমিটেডের ৯৯ শতাংশ শেয়ার অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইউনাইটেড আনোয়ারা পাওয়ার লিমিটেড ৩০০ মেগাওয়াট এবং ইউনাইটেড জামালপুর পাওয়ার প্লান্টটি ১১৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র। ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে প্রকৃত সম্পদ মূল্য অনুযায়ী চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে কোম্পানি দুটির অধিগ্রহণ কার্যকর হবে। কোম্পানি দুটি অধিগ্রহণের বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের সম্মতির জন্য ইউনাইটেড পাওয়ারের বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) আগামী ২৮ অক্টোবর বেলা ১১টায় অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে। আর এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৬ অক্টোবর।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক ৪৬ শতাংশ বা চার টাকা ৭০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৩১৬ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর দাঁড়িয়েছে ৩১৭ টাকা ৯০ পয়সা। ওইদিন কোম্পানিটির মোট ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৮০৬টি শেয়ার মোট দুই হাজার ৮৫০ বার হাতবদল হয়, যার মোট মূল্য ছিল ৩০ কোটি ২৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ওইদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩১৬ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩৩৫ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। আর গত এক বছরে শেয়ারটির দর ১৯৪ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৩৩৭ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠানামা করে।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ও ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি। ওই সময় কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৬ টাকা আট পয়সা এবং ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৬২ টাকা ৮০ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৬ টাকা ১৪ পয়সা।
এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ৯০ শতাংশ নগদ ও ২০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে, যা তার আগের বছর একই সময় ছিল ৯০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস। আলোচিত সময় ইপিএস হয়েছে ১১ টাকা ৫১ পয়সা এবং এনএভি ছিল ৪০ টাকা ৮০ পয়সা, যা তার আগের বছর ছিল ১১ টাকা ৫০ পয়সা ও ৪১ টাকা ২২ পয়সা।
