শেয়ার বিজ ডেস্ক: দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সড়ক ও রেল যোগাযোগ পুরোপুরিভাবে বন্ধের ঘোষণা দিলো উত্তর কোরিয়া। দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গতকাল বুধবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে। একই সঙ্গে সীমান্তের পাশবর্তী এলাকাগুলোকে আরও শক্তিশালী করা হবে। এর মধ্য দিয়ে দুই কোরিয়ার সড়ক ও রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেল। খবর: রয়টার্স।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ’র বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এই ঘোষণার মাধ্যমে দুই কোরিয়াকে বিভক্তকারী সীমানারেখার কাছাকাছি সামরিক কার্যকলাপ আরও বৃদ্ধির সূচনা হলো, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বিরল ছিল। গত জুলাইয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী অভিযোগ করেছিল, দুর্ঘটনা সত্ত্বেও চলতি বছর কয়েক মাস ধরে ভারী সামরিকীকরণ সীমান্ত বরাবর ল্যান্ডমাইন পোতা, বেড়া দেয়াসহ বর্জ্যভূমি তৈরি করেছে উত্তর কোরিয়া।
কেসিএনএ প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে কোরিয়ান পিপলস আর্মির জেনারেল স্টাফ বলেছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত যুদ্ধ মহড়ার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই ঘোষণা এসেছে। এই মহড়াকে তারা ‘প্রাথমিক শত্রু রাষ্ট্র ও অপরিবর্তনীয় প্রধান শত্রু’ হিসেবে অভিহিত করেছে। এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, জাতিসংঘের কমান্ডকে (ইউএনসি) বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে, তবে বিস্তারিত বলেনি। তবে তারা আরও জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার ঘোষণার বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়া ইউএনসির সঙ্গে যোগাযোগ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ইউএনসি একটি বহুজাতিক সামরিক বাহিনী এবং দুই কোরিয়ার মধ্যে ডিমিলিটারাইজড জোনের বিষয়গুলো তত্ত্বাবধান করে।
উল্লেখ্য, ইউএনসি একটি বহুজাতিক সামরিক বাহিনী এবং দুই কোরিয়ার মধ্যে ডিমিলিটারাইজড জোনে (ডিএমজেড) বিষয়গুলো তত্ত্বাবধান করে। ‘ডিমিলিটারাইজড জোন’ হলো, এমন একটি এলাকা যেখানে রাষ্ট্র, সামরিক শক্তি বা প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে চুক্তি বা সামরিক স্থাপনা, কার্যকলাপ বা কর্মীরা নিষিদ্ধ।
১৯৫০-৫৩ সালে কোরীয় যুদ্ধ শেষের সময় থেকে দুই দেশের মধ্যে রেল ও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। তবে ২০১৮ সালে রেল ও সড়ক যোগাযোগ নতুন করে চালু করতে একমত হয় উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া। দুই চিরবৈরী প্রতিবেশী নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সে পথে এটি ছিল আরেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা আবার ভেস্তে যাচ্ছে।