Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 5:23 pm

দুই গুদাম থেকে ৪০ টন সুতা জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে প্রাইমারি টেক্সটাইল খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো সুতা উৎপাদন করে থাকে। এ সুতা দেশীয় বস্ত্র খাতগুলো জোগান দেয়। এর পরও সরকার কিছু প্রতিষ্ঠানকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় সুতা আমদানির সুযোগ দিয়েছে। কিন্তু এসব অসাধু ব্যবসায়ী বন্ড সুবিধায় সুতা আমদানি করে তা খোলাবাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় আসছে সুতা। বন্ড সুবিধার অপব্যবহার রোধে ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট অভিযান জোরদার করেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সিরাজগঞ্জের দুটি গুদাম থেকে ৪০ টন বন্ড সুবিধার অপব্যবহার করা সুতা জব্দ করেছে বন্ড কমিশনারেট। এসব সুতার মূল্য প্রায় এক কোটি ২৫ লাখ টাকা। ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের সহকারী কমিশনার আল আমিনের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।

আল আমিন জানান, ঢাকার ইসলামপুর বাজারে বন্ড সুবিধার অপব্যবহার সফলভাবে রোধ করতে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি অভিযান চালানো হয়। এতে বন্ড সুবিধার বড় কয়েকটি চালান আটক হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে সাধুবাদ জানানো হয় এবং অভিযান অব্যাহত রাখতে অনুরোধ জানানো হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কমিশনারের নির্দেশে গতকাল সিরাজগঞ্জের সোহাগপুর বাজার ও তামাই গ্রামে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হয়। এ সময় শামিম শেখের গোডাউনে বিপুল পরিমাণ বন্ডেড চোরাই সুতার মজুত পাওয়া যায়। এসব সুতা বিভিন্ন রফতানিমুখী গার্মেন্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ড সুবিধায় শুল্কমুক্তভাবে আমদানিপূর্বক বিদেশে রফতানির পরিবর্তে অবৈধভাবে সিরাজগঞ্জেরে সোহাগপুর বাজার ও বিভিন্ন পইকারি বাজারে বিক্রি করে দিয়েছে। অভিযানে প্রায় ৪০ মেট্রিক টন সুতা জব্দ করা হয়, যার মূল্য প্রায় এক কোটি ২৫ লাখ টাকা। প্রাথমিক তদন্তে ইউডির বিপরীতে এসব সুতা আমদানি করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। বিগত প্রায় পাঁচ বছর ধরে বন্ডের আওতায় সুতা আমদানি করে খোলাবাজারে বিক্রি করে আসছে এ চক্র।

এ বিষয়ে বন্ড কমিশনার এসএম হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘শুধু গোডাউনের মালিক বা ক্রেতা নয়, যেসব উৎস থেকে চোরাপথে অবৈধভাবে এসব পণ্য সিরাজগঞ্জে আসে, সেসব উৎস প্রতিষ্ঠান এবং এই চক্রকে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ’র সহযোগিতা নিয়ে অতি দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে এবং দায়ী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বন্ড সুবিধার অপব্যবহার প্রতিরোধ এবং দেশীয় শিল্পের সুরক্ষায় এনবিআর চেয়ারম্যানের নির্দেশনা এবং তার গতিশীল নেতৃত্বে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’