প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে জোড়া খুনের ঘটনায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী এরশাদুল হক ও তার সহযোগী বাদল সরকারকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে। এ জোড়া খুনের ঘটনায় নিহত এরশাদের প্রতিদ্বন্দ্বী দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
গতকাল রোববার নিহত এরশাদুল হকের ছোট ভাই আকতারুজ্জামান বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬ জনকে আসামি করে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। এর আগে শুক্রবার রাতে দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে খুন হন নাটঘর ইউনিয়নের নান্দুরা গ্রামের বাসিন্দা নাটঘর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের ছেলে আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী এরশাদুল হক (৩৮) ও তার সহযোগী কুড়িঘর গ্রামের সন্তোষ সরকারের ছেলে বাদল সরকার (২৭)। নিহত এরশাদুল হক নাটঘর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের অসুস্থতার কারণে পিতার বদলে এরশাদুল আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের ঘটনায় নবীনগর থানায় রজুকৃত হত্যা মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে নজরুল ইসলামকে। ঘটনার পর পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে একজনকে। এদিকে মামলার এজাহারভুক্তদের মধ্যে দু’জন চেয়ারম্যান প্রার্থীও রয়েছেন। তারা হলেন সজীব চৌধুরী (শামীম আব্দুল্লাহ) ও রফিকুল ইসলাম রতন। তারা দুজনেই নাটঘর ইউনিয়ন পরিষদের আসন্ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী। ঘটনার পর থেকেই তারা পলাতক রয়েছেন।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। মাঠে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী এরশাদুল হক ও তার সহকর্মীকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
