শোবিজ ডেস্ক: একটা সময় ‘মিস ক্যালকাটা’ হয়ে সেলিব্রিটি দুনিয়ায় ঢুকে পড়েন তিনি। তারপর ডকুমেন্টারি, টিভি, সিনেমা সবকিছুতেই নিজের জায়গা শক্ত করে নিয়েছেন। আজ টালিউডের জনপ্রিয় চেনা মুখ হয়ে উঠেছেন জুন মালিয়া। সেলিব্রিটি জীবনযাত্রা, ঘরকন্না, ভালোলাগা-মন্দলাগা সবকিছু মিলিয়ে ভালোই আছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে নিজের কথা বললেন সব বিষয়ে। এনটিভি অনলাইন।
জুন মালিয়া বলেন, ‘আমি সেলিব্রিটি হয়ে ওঠাটাকে কখনোই খুব একটা আমল দিইনি। আমার সন্তানদের নিয়ে আগেও যেমন এখানে-সেখানে যেতাম, সেলিব্রিটি হওয়ার পরও তেমনই চালিয়ে যাচ্ছি। তবে হ্যাঁ, সেলিব্রিটি তকমা লাগার পর সিকিউরিটির দিকে একটু নজর দিতে হয়।’ কথায় কথায় জুন বললেন, ‘আমার কাছে রোল মডেল ছিলেন দুজন নারী। তারা হলেন অপর্ণা সেন ও মুনমুন সেন। নিজেদের পরিচিতির জন্য কখনো কুণ্ঠিত হননি তারা। তাই আমিও মনে করি, তারা যদি পারেন, আমি কেন পারবো না! তারাও নিজেদের সন্তান নিয়ে এদিক-সেদিক যান। আসলে আমি জীবনটাকে সহজভাবে চালাতে ভালোবাসি। যেহেতু সেলিব্রিটি হওয়াটাকে আমি সেভাবে আমল দিইনি, তাই আমার পরিবারেও কোনো প্রভাব পড়েনি। অভিনয়টা আমার কাছে বরাবরই প্রফেশন।’ নিজের একান্ত ব্যক্তিজীবনের কথা বলতে গিয়ে জুন জানিয়ে দিলেন, ‘ব্যক্তিজীবনে আমি খুবই পজিটিভ চরিত্রের মানুষ। যে কোনো পরিস্থিতির মধ্যে থেকে ভালোটা খুঁজে বের করার চেষ্টা করি সবসময়। এই পজিটিভ দিকটিই আমার চালনাশক্তি। এটা ভাবতে পারি বলে যে কোনো কাজে আমি সহজে হার মানি না।’ ব্যক্তি জুন মালিয়া ও অভিনেত্রী জুন মালিয়ার মধ্যে পুরোদস্তুর ফারাক রয়েছে! এ প্রসঙ্গে জুনের কথা, ‘আমি ব্যক্তি হিসেবে একরকম, আবার অভিনেত্রী হিসেবে অন্যরকম। অভিনয়ের ক্ষেত্রে যে চরিত্রটা করি, সেখানে আমি সম্পূর্ণ সেই চরিত্রের মতো। সেটা হতে পারে পজিটিভ কিংবা নেগেটিভ চরিত্র।’
কর্মব্যস্ততার ফাঁক গলে, সংসারের হাজারও কাজ সামলে, সন্তানদের দেখভাল করে সময় পেলে রান্না করতে বেশ ভালোবাসেন জুন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি খুব ভালো রান্না করি এবং প্রচুর রান্না করি। তবে আমি একটু মুডি। মন ভালো লাগলে রান্না করলাম, ভালো না লাগলে রান্না করলামই না। রান্নার মধ্যে চাইনিজ, থাই, কন্টিনেন্টালের পাশাপাশি মাটন আর চিকেনের বাঙালি কারি রান্না করতে পারি।’