শেয়ার বিজ ডেস্ক: দুই জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তিনজন। গতকাল চুয়াডাঙ্গা ও ময়মনসিংহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তারা প্রাণ হারান। প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলায় বাসের ধাক্কায় ভ্যানগাড়ির আরোহী ছয় শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত তিনজন। উপজেলার সরোজগঞ্জ এলাকার চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কে গতকাল সকাল সাড়ে ৬টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক আব্দুল সালাম জানান।
নিহতরা হলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার খাড়াগোদা গ্রামের মাহতাব আলীর ছেলে মিলন হোসেন (৪০), তিতুদহ গ্রামের নোতা আলীর ছেলে মোহাম্মদ সোহাগ (২০), একই গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে শরীফ হোসেন (৩০), তিতুদহ গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে রাজু হোসেন (৩০), বসুভাণ্ডারদহ গ্রামের শ্রী হাওলাদারের ছেলে ষষ্টি কুমার (৩৫) ও তিতুদহ গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে কালু হোসেন (৪০)। আহতরা হলেন, তিতুদহ গ্রামের বাবলু হোসেন (৪৫), মোহাম্মদজুমা গ্রামের আকাশ আলী (১৮) ও তিতুদহ গ্রামের আলমগীর হোসেন (২৮)।
আব্দুল সালাম বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রয়েল পরিবহনের একটি বাস ইঞ্জিনচালিত দুটি ভ্যানগাড়িকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এ সময় একটি ভ্যানগাড়ির দুই শ্রমিক ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে তিনজনকে এবং বেলা ১০টার দিকে আরও একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আহতরা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহতরা সবাই কৃষিশ্রমিক। তারা একটি ভ্যানে করে মাঠে কাজ করার জন্য যাচ্ছিলেন। পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ মোহাম্মদ ফখরুল আলম খান বলেন, পুলিশ অভিযান চালিয়ে রয়েল পরিবহনের চালক আসাদুল হককে গ্রেপ্তার করেছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানান চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার।
ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় বাসের চাপায় সিএনজি অটোরিকশার সাত যাত্রী নিহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। গতকাল বিকাল সোয়া ৪টায় ময়মনসিংহ-জামালপুর মহাসড়কের মুক্তাগাছা উপজেলার মানকোন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুক্তাগাছা থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার বিকাল সোয়া ৪টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জামালপুরগামী রাজীব পরিবহনের একটি বাস মানকোন এলাকায় সিএনজিকে চাপা দেয়। জামালপুর থেকে ময়মনসিংহে যাচ্ছিল ওই সিএনজি। এতে ঘটনাস্থলেই সিএনজির চার যাত্রী নিহত হন। সেইসঙ্গে তিন যাত্রী আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে আহত তিনজনের মৃত্যু হয়। ময়মনসিংহ জেলা ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার এসএম সেলিম বলেন, জামালপুরগামী রাজীব পরিবহনের ধাক্কায় দুমড়ে-মুচড়ে যায় সিএনজি। এতে সিএনজির সাত যাত্রী নিহত হন। তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মুক্তাগাছা থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে। বাসটিকেও আটক করা হয়েছে।