শেয়ার বিজ ডেস্ক: আগে মজুত করা সয়াবিন তেল নতুন দরে বিক্রির অপরাধে চট্টগ্রামে দুই মুদি দোকানিকে জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। গতকাল শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর চৌমুহনী এলাকার কর্ণফুলী মার্কেটে অভিযান চালিয়ে জে আলম অ্যান্ড ব্রাদার্স এবং এসএম এন্টারপ্রাইজ নামের দোকান দুটিকে মোট এক লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তাদের কাছ থেকে মজুত করা মোট ২ হাজার লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল উদ্ধার করা হয়। এদিকে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে অবৈধভাবে মজুত ৯ হাজার ১৬৮ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করা হয়েছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক দিদার হোসেন বলেন, কর্ণফুলী বাজারের দোকান দুটি আগের দরে তেল কিনে মজুত করে রেখেছিল। তারা খুচরা পর্যায়ে ক্রেতাদের কাছে বোতলজাত সয়াবিন বিক্রিও করছিল না। তিনি বলেন, সীমিত পর্যায়ে বিক্রি করলেও তারা আগে কেনা দামে বিক্রি না করে সরকারের বেঁধে দেয়া নতুন দরে বিক্রি করছিল সেসব পণ্য। জে আলম অ্যান্ড ব্রাদার্সের কাছ থেকে দেড় হাজার লিটার সয়াবিন এবং এসএম এন্টারপ্রাইজের কাছে ৫০০ লিটার মজুত করা সয়াবিন পাওয়া যায়।
দিদার হোসেন বলেন, জে আলম অ্যান্ড ব্রাদার্সকে এক লাখ ৫০ হাজার এবং এসএম এরন্টারপ্রাইজকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সম্প্রতি সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৪০ টাকা বাড়ানোর আগে তেল মজুত করে রাখেন অনেক ব্যবসায়ী। সেই তেল নতুন দরে বিক্রি করতে গিয়ে অনেকেই ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ধরা পড়ছেন।
এদিকে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সীবাজারে অবৈধভাবে মজুত ৯ হাজার ১৬৮ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় জরিমানা করা হয়েছে এক লাখ টাকা। গতকাল শনিবার দুপুরে মেসার্স সালাউদ্দিন স্টোর থেকে এ তেল জব্দ ও জরিমানা করা হয়। অধিদপ্তরের মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আল আমীনের নেতৃত্বে র্যাব-৯-এর সহযোগিতায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
জব্দকৃত তেলের বোতলে আগের মূল্য লেখা থাকলেও সেগুলো নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রির জন্য মজুত করা হয়েছিল।
মো. আল আমীন বলেন, দোকানের মালিক সালাউদ্দিনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করার পাশাপাশি জব্দকৃত তেল উপস্থিত জনসাধারণের মাঝে বোতলের গায়ের লেখা মূল্যে বিক্রি করা হয়েছে।