নিজস্ব প্রতিবেদক: দুই ডোজ টিকা নিলেও করোনাভাইরাসের নতুন জেএন.১ সাব- ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় বলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএসএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক শরফুদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন। করোনার সর্বশেষ জিনোম সিকোয়েন্সিং গবেষণার ফলাফল জানানোর সময় গতকাল মঙ্গলবার তিনি এ তথ্য জানান।
এ সময় অধ্যাপক শরফুদ্দিন বলেন, ‘গবেষণায় যাদের শরীরে কভিডের নতুন জেএন.১ সাব-ভেরিয়েন্ট পাওয়া গেছে তাদের ক্ষেত্রে তেমন প্রকট লক্ষণ দেখা যায়নি।’
তিনি জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ বছরের শুরুতে নতুন এই সাব-ভেরিয়েন্টের কথা জানিয়েছে। বিএসএমএমইউ গত জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত কভিড আক্রান্ত ৪৮ রোগীর নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করেছে। গবেষণায় ৩ জনের নমুনায় সাব-ভেরিয়েন্ট জেএন.১ শনাক্ত করা হয়েছে।
অধ্যাপক শরফুদ্দিন বলেন, ‘এই সাব-ভেরিয়েন্টের উপসর্গ করোনার অন্যান্য ধরনের মতোই। তাদের অবশ্য জ্বর, ঠান্ডা, গলাব্যথা, মাথাব্যথা এবং হালকা কাশির হালকা উপসর্গ ছিল। তবে এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব জানতে গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার বিকল্প নেই।’ যাদের হালকা উপসর্গ দেখা যাবে, তাদেরও কভিড পরীক্ষা করা উচিত বলে পরামর্শ দেন তিনি।
এই গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন ডা. শরফুদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আক্রান্তদের আগেই করোনার দুই ডোজ টিকা নেয়া ছিল।’ নতুন সাব-ভেরিয়েন্টে উপসর্গ কম দেখা যায় বলে হাসপাতালে ভর্তির হার কম বলে মন্তব্য করেন তিনি।