শেয়ার বিজ ডেস্ক: কভিড-১৯ প্রতিরোধে এবার পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের টিকা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। চলতি মাসে তাদের টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা করছে দেশটি। খবর: সিএনএন।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা-বিষয়ক প্রধান সরকারি সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি দেশটির অল্পবয়সী এই শিশুদের টিকা প্রয়োগ শুরু করা হতে পারে। কভিড প্রতিরোধে দুই থেকে চার বছর বয়সী শিশুদের শরীরে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য ফাইজার বায়োএনটেকের টিকাকে অনুমোদন দেয়ার কথা বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধবিষয়ক প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)। তবে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগের সময় এই টিকা কিশোর ও প্রাপ্তবয়স্কদের মতো পাঁচ বছরের নিচের শিশুদের শরীরে প্রত্যাশা অনুযায়ী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে পারেনি। এ প্রসঙ্গে ফাইজার জানায়, জরুরি জনস্বাস্থ্যবিষয়ক প্রয়োজনীয়তা পূরণের তাগিদেই এফডিএ’র পরামর্শে অল্পবয়সী শিশুদের জন্য টিকার অনুমোদন চেয়ে সংস্থাটির কাছে আবেদন করেছে তারা।
আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি এই অল্পবয়সী শিশুদের জন্য টিকার অনুমোদন দেয়া হবে কি না, সে বিষয়ে আলোচনা করবে এফডিএ’র একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি। বৈঠকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেলে সিডিসি’র বিশেষজ্ঞরা আলোচনায় বসবেন। এরপর কীভাবে অল্পবয়সী শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে, তা নির্ধারণ করা হবে। ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয়া হলে এক সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে বিশ্বে প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে দুই থেকে চার বছর বয়সী শিশুদের শরীরে টিকা দেয়া শুরু হবে। দেশটির যেসব এলাকার শিশু করোনায় আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে, মূলত সেসব এলাকাকে প্রথমে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এর আগে কভিড সংক্রমণ প্রতিরোধে গত বছর অক্টোবরের শেষে পাঁচ বছর থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ফাইজারের টিকার অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে বর্তমানে পাঁচ বছর থেকে শুরু করে এর বেশি বয়সী শিশুদের ফাইজারের টিকা দেয়া হচ্ছে।
সিডিসি জানায়, এফডিএ অল্পবয়সী শিশুদের শরীরে প্রয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন দিলে চলতি মাস শেষ হওয়ার আগে অঙ্গরাজ্যগুলোয় প্রাথমিকভাবে এক কোটি ডোজ ফাইজারের টিকা ও অন্যান্য সরঞ্জাম পাঠানোর পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার। যুক্তরাষ্ট্রে ছয় মাস থেকে চার বছর বয়সী মোট শিশুর সংখ্যা বর্তমানে প্রায় এক কোটি ৮০ লাখ। তাই প্রাথমিকভাবে এক কোটি ডোজ টিকা সরবরাহের পরও অতিরিক্ত আরও টিকা সরবরাহ করতে হবে বলে জানায় সিডিসি।