Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 3:28 pm

দুই বছরের ব্যবধানে স্ক্র্যাপ লোহা আমদানি কমেছে ১৭ লাখ টন

সাইফুল আলম, চট্টগ্রাম: ডলার সংকটে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে পুরোনো জাহাজের স্ক্র্যাপ লোহা আমদানি মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে কমেছে ১৭ লাখ মেট্রিক টন। অর্থাৎ ২০২১ সালে দেশে পুরোনো জাহাজের স্ক্র্যাব আমদানি হয়েছিল ২৭ লাখ ২৮ হাজার মেট্রিক টন। অপরদিকে ২০২৩ সালে মোট আমদানি হয়েছে মাত্র ১০ লাখ ২২ হাজার মেট্রিক টন, যা গত দশ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পুরোনো জাহাজ আমদানি।

বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা যায়, সীতাকুণ্ডের সমুদ্র উপকূলে গড়ে ওঠা শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডগুলোয় পুরোনো জাহাজ ভেঙে স্ক্র্যাব বিক্রি করা হয়, যা দেশের রি রোলিং এবং স্টিল মিলগুলো কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহƒত করে। এক সময় ১৩০টিরও বেশি শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড থাকলে বর্তমানে ৩০টির মতো ইয়ার্ড চালু রয়েছে। আর এসব ইয়ার্ডে পুরোনো জাহাজ কিনে এনে কেটে টুকরো টুকরো বিক্রি করা হয়। গত বছর মোট ১৭৩টি পুরোনো জাহাজ ভাঙা হয়েছে। এসব জাহাজ থেকে লোহার টুকরা পাওয়া যায় মাত্র ১০ লাখ ২২ হাজার টন। আর ২০২২ সালে ছিল ১১ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন। অথচ কভিডকালে রেকর্ড ২৭ লাখ ২৮ হাজার মেট্রিক টন স্ক্র্যাব পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লাস অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা ও পুরোনো জাহাজের আমদানিকর কামাল উদ্দিন শেয়ার বিজকে বলেন, ডলার সংকটে ব্যাংকগুলো চাহিদা অনুসারে এলসি দিতে পারছে না। তাই গত বছরের দেশের ইতিহাসে কম স্ক্র্যাব পাওয়া গেছে। অথচ আন্তর্জাতিক বাজারে কম দামে পুরোনো জাহাজ কেনার অফার পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু ডলার সংকটের কারণে আমরা সেই সুযোগ নিতে পারছি না। আর আমদানি হলে দেশের বাজারে লোহার দামও কমে আসত। আবাসন খাতে বিনিয়োগ বাড়ত।

সাম্প্রতিক সময়ে আলাপকালে কেআর গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তসলিম উদ্দিন শেয়ার বিজকে বলেন, জাহাজ ভাঙার জন্য আমরা দেশে সবচেয়ে বড় গ্রিন শিপইয়ার্ড স্থাপন করছি। আমরা ইয়ার্ডের সক্ষমতা অনুসারে জাহাজ কাটতে পারছি না। এতে ব্রেক ইভেনে আসতে পারছি না। অথচ আন্তর্জাতিক বাজারের এখন পুরোনো জাহাজ আমদানি করার মতো পরিবেশ ও সুযোগ রয়েছে। নিয়মিত ডলারের বিনিময় হারও বাড়ছে। তাই ব্যবসা করা জটিল হয়ে যাচ্ছে। তাই নীতি-নির্ধারকদের ব্যবসাবান্ধব পলিসি গ্রহণ করতে হবে।