দুই বছরে প্রাথমিক বিদ্যালয় কমেছে ১৮ হাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক : দুই বছরে দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় কমেছে ১৮ হাজারের বেশি। ২০২০ সালে সরকারি ও বেসরকারি (কিন্ডারগার্টেনসহ) প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল ১ লাখ ৩৩ হাজার ২টি। ২০২২ সালে তা কমে হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৩৯টি; যার মধ্যে সরকারি ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। তবে বিদ্যালয় কমলেও এক বছরের ব্যবধানে প্রায় সাড়ে চার লাখ শিক্ষার্থী বেড়েছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ২০২২ সালের বার্ষিক প্রাথমিক বিদ্যালয় শুমারিতে (এপিএসসি) এ তথ্য উঠে এসেছে। 

বার্ষিক প্রাথমিক বিদ্যালয় শুমারির তথ্য বলছে, ২০২২ সালে সারাদেশে প্রাক্-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট শিক্ষার্থী ছিল ২ কোটি ৫ লাখ ৪৬ হাজার ৯১ জন, যা আগের বছর ছিল ২ কোটি ৯০ হাজার ৫৭ জন। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৩৪ জন শিক্ষার্থী বেড়েছে। আর ২০২০ সালে ছিল ২ কোটি ১৫ লাখ ৫১ হাজারের বেশি।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মোট শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রী ১ কোটি ৫ লাখ ২১ হাজার ১৪০ জন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় মোট শিক্ষক আছেন ৩ লাখ ৬২ হাজার ৭০৯ জন। এর মধ্যে প্রায় ৬৫ শতাংশ নারী শিক্ষক।

মোট শিক্ষকদের মধ্যে ২ লাখ ৩৭ হাজার ৬২৫ জন শিক্ষক পিটিআইয়ের প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় গড়ে একজন শিক্ষকের বিপরীতে ৩৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।

দেশে শিক্ষার মান বৃদ্ধির বিষয়ে সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) অধ্যাপক এম তারিক আহসান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এখন গুণগত শিক্ষায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। শিক্ষার মান বাড়াতে হলে প্রথমেই শিখন পরিবেশের উন্নতি করতে হবে। দ্বিতীয়ত, শিক্ষকের মর্যাদা বাড়াতে হবে। শিখনমানের উন্নতি বলতে, নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন শুধু শ্রেণিকক্ষে নয়, বাড়িতে ও চারপাশ থেকেও শেখানো হবে। তাই সার্বিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। শিক্ষকের মর্যাদা বলতে বেতনের সুবিধার পাশাপাশি সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে তাদের গুরুত্ব দিতে হবে। এছাড়া শিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়ানোর দিকে জোর দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘শিক্ষা খাতে বরাদ্দের হার জিডিপির ৬ শতাংশ নেয়া জরুরি।’

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০