নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৯৯৬ সালের আলোচিত শেয়ার কেলেঙ্কারির দুই মামলার আট আসামি ও দুই কোম্পানিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল। গতকাল পুঁজিবাজারের মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গঠিত ট্রাইব্যুনালের বিচারক আকবর আলী শেখ এ রায় দেন।
এইচএমএমএস ফাইন্যান্সিয়াল কনসালটেন্সি অ্যান্ড সিকিউরিটিজ ও সিকিউরিটিজ কনসালটেন্টস লিমিটেডের শেয়ার কারসাজির অভিযোগে এ দুটি মামলা করেছিল পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। মামলায় হেমায়েত উদ্দিন আহমেদ, মোস্তাক আহমেদ সাদেক, সৈয়দ মাহবুব মুর্শেদ, শরিফ আতাউর রহমান, আহমেদ ইকবাল হাসান, এমজে আজম চৌধুরী, শহীদুল্লাহ ও প্রফেসর মাহবুব আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, এইচএমএমএস ফাইন্যান্সিয়াল কনসালটেন্সি অ্যান্ড সিকিউরিটিজের শেয়ার কারসাজি মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক চেয়ারম্যান হেমায়েত উদ্দিন আহমেদ, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ সাদেক, ডিএসইর সদস্য সৈয়দ মাহবুব মুর্শেদ, ডিএসইর বর্তমান পরিচালক শরিফ আতাউর রহমান ও সাবেক চেয়ারম্যান আহমেদ ইকবাল হাসান এবং সিকিউরিটিজ কনসালটেন্টস লিমিটেডের শেয়ার কারসাজি মামলায় এমজে আজম চৌধুরী, শহীদুল্লাহ ও প্রফেসর মাহবুব আহমেদ। একইসঙ্গে দুই মামলা থেকে এইচএমএমএস ফাইন্যান্সিয়াল কনসালটেন্সি অ্যান্ড সিকিউরিটিজ ও সিকিউরিটিজ কনসালটেন্টস লিমিটেড নামে ওই দুই প্রতিষ্ঠানকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বিএসইসির প্যানেল আইনজীবী মাসুদ রানা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনাল ১৯৯৬ সালে শেয়ার কারসাজির মামলায় এইচএমএমএস ফাইন্যান্সিয়াল কনসালটেন্সি অ্যান্ড সিকিউরিটিজ ও সিকিউরিটিজ কনসালটেন্টস লিমিটেড মামলার আসামিদের বেকসুর খালাসের রায় দিয়েছেন। রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে আপিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’