দুই মাসে বাণিজ্য ঘাটতি ১৮১ কোটি ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক : আমদানি ব্যয়ের তুলনায় বাড়ছে না রফতানি আয়। ফলে বাড়ছে বাণিজ্য ঘাটতি। চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই ও আগস্টে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৮১ কোটি ১০ লাখ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের আগস্ট শেষে ইপিজেডসহ রফতানি খাতে বাংলাদেশ আয় করেছে ৬৫৪ কোটি ২০ লাখ ডলার। এ সময়ে আমদানি বাবদ ব্যয় হয়েছে ৮৩৫ কোটি ২০ লাখ ডলার। এ হিসাবে বাণিজ্য ঘাটতি ১৮১ কোটি ১০ লাখ ডলার। গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের একই সময়ে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল মাত্র ৫২ কোটি ৫০ লাখ ডলার। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে ১২৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার বা ২৪৫ শতাংশ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমদানি ব্যয় বাড়া খারাপ কিছু নয়, যদি এর প্রভাব বিনিয়োগে পড়ে। তবে
আমদানির নামে অর্থ পাচার হলে তা অর্থনীতির জন্য খারাপ। সম্প্রতি রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে গেছে। ফলে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যে (ব্যালান্স অব পেমেন্ট বা বিওপি) ঋণাত্মক হয়ে পড়েছে। এ অবস্থা বিদ্যমান থাকা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য ভালো নয়।
এ বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম শেয়ার বিজকে বলেন, আমদানি বাড়লেও তা মূলধনি যন্ত্রপাতি হলে ভালো। তবে আমদানির নামে অর্থ পাচার হচ্ছে কি না, তা সংশ্লিষ্টদের খতিয়ে দেখতে হবে।
২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ অর্থবছরজুড়ে চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত ছিল। এতে বৈদেশিক দায় পরিশোধে সরকারকে বেগ পেতে হয়নি। কিন্তু ২০১৭-১৮ অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্টে ৪৫ কোটি ১০ লাখ ডলার ঋণাত্মক হয়েছে, যা এর আগের অর্থবছরে একই সময়ে উদ্বৃত্ত ছিল ৮১ কোটি ২০ লাখ ডলার। এ সময়ে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে সেবামূল্য ব্যয় বেশি হওয়ায় চলতি হিসাবে ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকার অর্থ হলো নিয়মিত লেনদেনে দেশকে কোনো ঋণ করতে হচ্ছে না। আর ঘাটতি থাকলে সরকারকে ঋণ নিয়ে তা পূরণ করতে হয়। সেই হিসেবে উন্নয়নশীল দেশের চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকা ভালো। কিন্তু গত কয়েক বছর উদ্বৃত্তের ধারা অব্যাহত থাকলেও গেল অর্থবছরে ঋণাত্মক ধারায় চলে গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, আগস্টে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে মোট ৫১ কোটি ডলার। এর মধ্যে নিট এফডিআই এসেছে ৩২ কোটি ডলার, যা আগের বছরে এসেছিল ২৯ কোটি ২০ লাখ ডলার।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০