নিজস্ব প্রতিবেদক: অস্বাস্থ্যকর ও বিপজ্জনক বায়ু থেকে জনসাধারণকে রক্ষায় ‘অ্যালার্ট সিস্টেম’ চালু করতে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বাস্তবায়িত না হওয়ায় পরিবেশ সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও পরিচালক (মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট) বরাবর আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) পক্ষে আইনজীবী এস হাসানুল বান্না রেজিস্ট্রি ডাকযোগে গতকাল ওই নোটিশ পাঠান।
নোটিশে ঢাকার বায়ুর মান অস্বাস্থ্যকর, অতি অস্বাস্থ্যকর ও বিপজ্জনক পর্যায়ের ক্ষেত্রে আদালতের আদেশ অনুযায়ী অ্যালার্ট সিস্টেম চালুর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে বায়ুদূষণের প্রধান উৎসগুলো নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে জোরালো দাবি জানিয়েছে বেলা। অন্যথায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে বায়ুদূষণ কমাতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বেলা হাইকোর্টে একটি রিট করে। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুল, নির্দেশনাসহ আদেশ দেন। বায়ুদুষণের প্রধান উৎসগুলো চিহ্নিত করার পাশাপাশি দূষণ কমাতে সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং অস্বাস্থ্যকর, অতি স্বাস্থ্যকর ও বিপজ্জনক বায়ু থেকে জনসাধারণকে রক্ষায় অ্যালার্ট পদ্ধতি চালুর নির্দেশ দেন। নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে চার মাসের মধ্যে বিবাদীদের আদালতে প্রতিবেদন দিতেও বলা হয়।
নোটিশে বেলা বলেছে, বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষণকারী যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা এয়ার ভিজ্যুয়ালের পর্যবেক্ষণ (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) অনুযায়ী, গত এক মাসের বেশি সময় ধরে রাজধানী ঢাকার বায়ুর মান অস্বাস্থ্যকর, অতি অস্বাস্থ্যকর ও বিপজ্জনক পর্যায়ে রয়েছে। আদালতের সুষ্পষ্ট নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও অস্বাস্থ্যকর, অতি অস্বাস্থ্যকর ও বিপজ্জনক বায়ু থেকে জনসাধারণকে রক্ষায় অ্যালার্ট সিস্টেম চালু করা হয়নি, যা আদালতের আদেশের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন ও আদালত অবমাননার শামিল।