Print Date & Time : 23 June 2025 Monday 12:12 pm

দুই সহোদর হত্যার দায়ে ৯ জনের ফাঁসির রায়

প্রতিনিধি, মেহেরপুর : মহেরপুরে রফিকুল ইসলাম ও আবুজেল ইসলাম নামে দুই সহোদরকে হত্যা মামলায় ৯ জনের ফাঁসি ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন মেহেরপুর আদালত। গতকাল রোববার মেহেরপুর অতিরিক্ত  দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এয় রায় দেন। দণ্ডিতরা হলো গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামের কিয়ামতের ছেলে হালিম, আছের হালসনার ছেলে আতিয়ার, আব্দুল জলিলের ছেলে জালাল উদ্দিন, মৃত নজির আলীর ছেলে শরিফুল, নবির উদ্দিনের ছেলে দবির উদ্দিন, দবির উদ্দিনের ছেলে শরিফ, আফুল উদ্দিন ওরফে আফেল সর্দারের ছেলে আজিজুল, মৃত দবির উদ্দিনের ছেলে ফরিদ ও মুনছারের ছেলে মনি।

আটজন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বিচারক। জালাল উদ্দিন নামের এক আসামি পলাতক রয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের জুন মাসের ৫ তারিখে গাংনীর কাজিপুর বিওপি ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা কিছু ফেনসিডিল পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। বিজিবিকে এই ফেনসিডিলের তথ্য দেয়ার অভিযোগ উঠে রফিকুল ইসলাম ও তার ভাই আবুজেল ইসলামের ওপর। পরের দিন রাত আনুমানিক ৮ টার সময় রফিকুল ইসলামকে বিজিবির সোর্স বলে আসামিরা মারধর করে।

এ ঘটনার কিছু দিন পর ১৫ জুন রাত আনুমানিক ১০টার সময় মারধরের ঘটনা মীমাংসা করার কথা বলে আসামি মিল্টন দুই ভাই রফিকুল ও আজেবুলকে ডেকে নেয়। পরের দুই দিন পর ভোর অনুমান ৬টার সময় গাংনী থানাধীন কাজিপুর গ্রাম মণ্ডলপাড়ার বাংলাদেশ-ভারত ১৪৫ নং/এস-৬ নং সীমানা পিলার বাংলাদেশের ভেতরে অনুমান ৭০-৭৫ গজ দক্ষিণে জনৈক লান্টুর মরিচ ক্ষেতে ২ ভাইয়ের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় নিহতের বোন জরিনা বেগম বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে  গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করে। যার নম্বর জিআর ৪৩৩/১২। মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান ১৪ জনকে আসামি করে চার্জশিট দেন আদালতে। মামলায় ১৭ জনের সাক্ষগ্রহণ শেষে ৯ জনের বিরুদ্ধে ৩০২ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ আদেশ দেন। 

বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ পাওয়া না যাওয়ায় বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন আদালত। রাষ্টপক্ষের কৌঁসুলি ছিলেন অতিরিক্ত পিপি কাজী শহিদুল হক। আসামি পক্ষের কৌঁসুলি ছিলেন, আতাউল হক, এ কে এম শফিকুল আলম ও কামরুল হাসান।