Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 12:32 pm

দুটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র অধিগ্রহণ করবে ইউনাইটেড পাওয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ দুটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র অধিগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটি ইউনাইটেড আশুগঞ্জ এনার্জি লিমিটেডের (ইউএইএল) ৯২ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং ৫৩ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ইউনাইটেড এনার্জি লিমিটেডের (ইউইএল) শেয়ার অধিগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইউনাইটেড পাওয়ার অভিহিত মূল্যে ইউনাইটেড আশুগঞ্জ এনার্জি লিমিটেডের ৯২ দশমিক ৪১ শতাংশ শেয়ার কিনবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে অবস্থিত গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি ১৯৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে পরিচালিত প্রকল্পটিতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ১৫ বছর মেয়াদে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।
কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের চর চারতলায় গ্যাসভিত্তিক পরিচালিত ৫৩ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন অপর একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রকৃত সম্পদমূল্যে এই প্রকল্পটি অধিগ্রহণ করা হবে।
এই শেয়ার কেনার প্রক্রিয়াসহ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র নেওয়া হবে আগামী ১ জুলাই। এছাড়া এসব সিদ্ধান্ত কোম্পানির সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) আহ্বান করা হবে। ইজিএম, রেকর্ড ডেট, সময়, স্থান প্রভৃতি পরে জানানো হবে।
গতকাল ডিএসইতে ইউনাইটেড পাওয়ারের শেয়ারদর বেড়েছে ১১ টাকা ৩০ পয়সা বা চার দশমিক ৩২ শতাংশ। এদিন শেয়ারটির সবশেষ দর দাঁড়ায় ২৫০ টাকায়। লেনদেন শেষে সবশেষ দর হয় ২৪৯ টাকা ৬০ পয়সা। এদিন সাত লাখ তিন হাজার ৪৪২টি শেয়ার এক হাজার ৭২৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারমূল্য ১৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
সবশেষ প্রকাশিত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, (জানুয়ারি-মার্চ) ১৮ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ৮৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল দুই টাকা ৭৭ পয়সা। অন্যদিকে জুলাই, ’১৭ থেকে মার্চ, ’১৮Ñ৯ মাসে ইপিএস হয়েছে আট টাকা ৪১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল আট টাকা পাঁচ পয়সা। ৩১ মার্চ, ২০১৮ পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়ায় ৩৭ টাকা ৭১ পয়সায়, যা ৩০ জুন, ২০১৭ পর্যন্ত ছিল ৩৭ টাকা ৪৭ পয়সা।
সবশেষ ২০১৭ সালে কোম্পানিটি ৯০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই বছর শেয়ারপ্রতি আয় হয় ১১ টাকা ৫০ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য হয় ৪১ টাকা ২২ পয়সা। ওই বছর মুনাফা হয়েছে ৪১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ২০১৫ ও ’১৬ দেড় বছরে কোম্পানিটি ১২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। ৮০০ কোটি টাকা অনুমোদিত ও ৩৯৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানির মোট শেয়ারসংখ্যা ৩৯ কোটি ৯২ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভে আছে ৮৯২ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
এ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে আসে। কোম্পানির মোট শেয়ারের ৯০ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ছয় দশমিক ৪৪ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক ও তিন দশমিক ৫৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।