দুদকের মামলায় ১৪ বছর কারাদণ্ড ডিআইজি মিজানের

নিজস্ব প্রতিবেদক: অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং আইনে দুদকের করা মামলায় পুলিশের সাময়িক বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি এ মামলায় অপর তিন আসামিকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ মামলায় অন্য আসামিরা হলেনÑমিজানুর রহমানের ভাই মাহবুবুর রহমান, ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান ও পলাতক স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রতœা।

গতকাল বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইমামের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

গত ৫ জুন একই আদালত রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২১ জুন দিন ধার্য করেন। এ মামলায় ডিআইজি মিজানসহ আসামি সংখ্যা চারজন।

ডিআইজি মিজান বর্তমানে কারাগারে আটক রয়েছেন। জামিনে রয়েছেন তার ছোটভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান। তবে মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রতœা শুরু থেকে পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।

দুদকের এ মামলায় ২০২০ সালের ১ জুলাই আগাম জামিন আবেদন করলে ডিআইজি মিজানকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। মিজানকে তাৎক্ষণিক পুলিশের হাতে তুলে দেন আদালত। গ্রেপ্তারের পর তাকে শাহবাগ থানায় নেয়া হয়। ওই বছরের ২ জুলাই মিজানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত।

মিজানুর রহমান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করানোর অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া এক সংবাদ পাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়। নারী নির্যাতনের অভিযোগে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০