নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ. কে. আজাদকে হাজির হওয়ার জন্য আরও সময় দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার হাজির হওয়ার কথা ছিল। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আরও ১৩ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। আগামী ২২ মে তাকে দুদক কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য নতুন করে তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। দুদক সচিব মো. শামসুল আরেফিন গতকাল গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
জানা যায়, হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. আজাদের বিরুদ্ধে কর ফাঁকি দিয়ে ঘোষিত আয়ের বাইরে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে দুদকে। অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই এ নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে সংস্থাটি। অনুসন্ধান কাজের অংশ হিসেবে গত ৩ এপ্রিল এ. কে. আজাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়। কিন্তু তখন তিনি দেশের বাইরে থাকায় পরে এসে সময় চেয়ে আবেদন করেন। এরপর গত ২৪ এপ্রিল তাকে দ্বিতীয় দফা নোটিস দিয়ে ৯ মে দুদকে হাজির হতে বলা হয়। সে হিসেবে গতকাল বুধবার তার সেগুনবাগিচার দুদক কার্যালয়ে আসার কথা ছিল। কিন্তু তিনি হাজিরা না দিয়ে দুই মাসের সময়ের আবেদন করেন।
শামসুল আরেফিন গণমাধ্যমকে জানান, ব্যক্তিগত কিছু কারণ দেখিয়ে তিনি আমাদের কাছে দুই মাসের সময় চেয়ে আবেদন করেছেন। ওই আবেদন বিবেচনায় নিয়ে ২২ মে নতুন করে হাজির হওয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। দুদক সচিব আরও বলেন, যে কাউকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ আমরা দিয়ে থাকি, তাকেও আমরা এই সুযোগ দিয়েছি। তবে তাকে অতিরিক্ত সুযোগ দেওয়া অবান্তর। তবে কেউ দুদকের দেওয়া সুযোগের অপব্যবহার করলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুশিয়ার করেন শামসুল আরেফিন।
এ. কে. আজদ মূলত তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী। ৫৯ বছর বয়সী এ উদ্যোক্তা হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। বর্তমানে এই গ্রুপের ব্যবসা রয়েছেÑবস্ত্র, প্যাকেজিং, পাট, চা, রসায়ন, পরিবহন, গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন খাতে। তিনি শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক। এ. কে. আজাদের মালিকানাধীন টাইমস মিডিয়া লিমিটেডের দুটি প্রতিষ্ঠান হলোÑবেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল২৪ এবং দৈনিক সমকাল।
উল্লেখ্য, জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৮ সালে দেশের অনেক ব্যবসায়ীর মতো এ. কে. আজাদের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির মামলা হয়েছিল। রমনা থানার ওই মামলায় ঘোষিত আয়ের বাইরে তার ২০ কোটি ৩৬ লাখ টাকার সম্পদ রয়েছে বলে উল্লেখ ছিল। তবে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর অন্য অনেক মামলার মতো ওই মামলাতেও চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় দুদক।
