শেয়ার বিজ ডেস্ক: সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বিনিয়োগ পরিকল্পনা নিয়ে সাম্প্রতিক বক্তব্যে প্রভাব পড়েছে আন্তর্জাতিক জ্বালানি তেলের বাজারে। শুক্রবার প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ৬০ ডলার ছাড়িয়েছে, যা গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। খবর রয়টার্স।
নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে (নিমেক্স) ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে শুক্রবার ব্যারেলপ্রতি জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে এক ডলার ২৬ সেন্ট বা দুই দশমিক চার শতাংশ। সবশেষ লেনদেনে এ বাজারে পণ্যটির দাম ব্যারেলে বিক্রি হয় ৫৩ ডলার ৯০ সেন্টে।
অন্যদিকে লন্ডন ইন্টারকন্টিনেন্টাল এক্সচেঞ্জে (আইসিই) ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তিতে ব্যারেলেপ্রতি দাম বেড়েছে এক ডলার ১৪ সেন্ট বা এক দশমিক ৯ শতাংশ। এদিন বাজারে প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেল বিক্রি হয়েছে ৬০ ডলার ৫৩ সেন্টে, যা ২০১৫ সালের জুলাইয়ের পর সর্বোচ্চ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চ্যালেঞ্জ সত্তে¡ও জ্বালানি তেলের বাজারে ভারসাম্য পুনরুদ্ধার একটি সফলতা। আর এটি সম্ভব হয়ে তেল উত্তোলনের বিষয়ে সৌদি আরবের যুবরাজের প্রস্তাব ও পদক্ষেপের কারণে।
সম্প্রতি এক বিনিয়োগ সম্মেলনে যুবরাজ জানান, জ্বালানি তেলের চাহিদা বাড়বে। তবে তিনি প্রথাগত ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিক্ষেত্রের ভবিষ্যৎ নিশ্চয়তার আশ্বাস দেন।
বøুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, পেট্রোলিয়াম রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেকভুক্ত ও ওপেকের বাইরের সব দেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ সৌদি আরব।
আগামী মাসে ভিয়েনায় বিশ্বের দুটি বৃহৎ তেল রফতানিকারক দেশগুলোর নেতাদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ওই বৈঠকে তেলের উৎপাদন হ্রাস চুক্তি সম্প্রসারণের বিষয়েও কথা হতে পারে।
কারণ কিছুদিন আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন যুবরাজকে তেল উৎপাদন কম রাখার চুক্তিটির মেয়াদ আরও বাড়ানোর পরামর্শ দেন। সেই কারণেই তিনি ওই চুক্তিটি ২০১৮ সাল পর্যন্ত দীর্ঘায়িত করতে চান।
যুবরাজ বলেন, আমরা ঐতিহাসিক চুক্তিটিতে সফল হয়েছি। বিশ্বের সবাইকে এ চুক্তি ও তেলের দামের ভারসাম্য অনুধাবন করতে সব সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত আছি।