ক্রীড়া প্রতিবেদক : লম্বা বিরতির পর গতকাল ওয়ানডেতে ফিরেছে বাংলাদেশ। লিটন দাসও ফিরেছেন ওপেনিংয়ে। ব্যাট হাতে শুরু থেকেই এ ডানহাতি জিম্বাবুয়ের বোলারদের খুব সহজেই সামাল দেন। তবে সময় সামনে এগিয়েছে ঠিক ততটাই ব্যাট হাতে বিধ্বংসী রূপে আবির্ভূত হন লিটন। একপর্যায়ে ৪৫ বলে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। সে ইনিংসটাকে এ তারকা সেঞ্চুরিতে রূপ দেন মাত্র ৯৫ বলে। এর ফলে গত দুবছরের অপেক্ষার অবসান হয় লিটনের। এর আগে ২০১৮ এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি করেছিলেন এ ডানহাতি।
সেঞ্চুরির পর লিটনের ব্যাট গতকাল সিলেট আন্তর্জাতিকে স্টেডিয়ামে আরও চড়াও হয়। কিন্তু এ ডানহাতি একপর্যায়ে হ্যামস্টিংয়ের চোটে পড়েন। যে কারণে আর ব্যাট হাতে ২২ গজে দাঁড়াতে পারেননি। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই ১০৫ বলে ১৩ চার ও ২ ছয়ে ১২৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে স্বেচ্ছায় অবসরে যান। তার আগে তিনি বাংলাদেশকে দেখিয়ে দেন বড় সংগ্রহের পথ। যার শুরুটা এ ডানহাতি করেছিলেন তামিম ইকবালকে নিয়ে ১২.৫ ওভারে ৬০ রান তুলে। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে লিটন দ্বিতীয় উইকেটে গড়েন ৮০ রানের জুটি। এরই একপর্যায়ে মাত্র ৪৫ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ে তিনি তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি।
মুশফিক গতকাল নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। তবে এ ডানহাতি সঙ্গ দেন লিটনকে। যে কারণে তাদের তৃতীয় উইকেটের জুটিতে আসে ৪২ রান, যা দলের স্কোর বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। শেষ পর্যন্ত মুশি ফিরে গেলেও লিটন ছিলেন তার মতোই।
গতকাল শুরু থেকেই লিটনের মনোযোগ ছিল রান বাড়ানোর দিকে। তবে ঝুঁকি নেননি তিনি। বলতে গেলে নিজের মতো করেই ব্যাট চালিয়ে যান। সে ধারাবাহিকতায় মাত্র ৯৫ বলে ১০ চার ও ১ ছয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। এরপর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে মনোযোগী হন লিটন। তাই তো একপর্যায়ে ডনাল্ড টিরিপানোর ওভারে তিনটি চার হাঁকান তিনি। এরপরই মাধেভেরেকে ছক্কায় ওড়ান এ ডানহাতি। ঠিকই তখনই তিনি পড়েন হ্যামেস্টিংয়ের চোটে। যে কারণে অনেকটা বাধ্য হয়েই ফিজিওর কাঁধে ভর দিয়ে মাঠ ছাড়েন। তিনি যখন ফেরেন, তখন তার নামের পাশে ১৩ চার ও ২ ছয়ে ১০৫ বলে ঝলঝল করছিল ১২৬ রানের ইনিংস।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গতকাল শুরু থেকে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন লিটন। তবে হ্যামেস্টিং চোটে পড়ে এ ডানহাতি ফেরার পর তাতে কিছুটা হলেও পড়েছিল ভাটা। দ্রুত সময়ের মধ্যে অবশ্য লিটনের কাজটাই করতে থাকেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মোহাম্মদ। শেষ পর্যন্ত তাদের চোখ ধাঁধানো ব্যাটিংয়ে ভর করে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে তোলে ৬ উইকেটে ৩২১ রান। সিলেটের উইকেটে পরে ব্যাট করা এ সংগ্রহ নিশ্চয়ই যে কোনো দলের জন্য কঠিন।