প্রতিনিধি, নাটোর: নাটোরের নলডাঙ্গায় ভিজিএফের কার্ড করে দেয়ার কথা বলে দিনমজুরের স্ত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে ইব্রাহিম দেওয়ান নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন ওই নারী। ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তা ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইব্রাহিম দেওয়ান ও তার সহযোগী বকুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ইব্রাহিম উপজেলার পিপরুল ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তার সহযোগী বকুল হোসেন একই এলাকার আবেদ আলীর ছেলে। গত শুক্রবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে ওই নারী নলডাঙ্গা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করলে অভিযান চালিয়ে উপজেলার বাঁশভাগ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, ইব্রাহিম দেওয়ানের নামে এলাকায় অনেক অভিযোগ রয়েছে। তিনি সালিশের নামে প্রতারণা, ছিনতাই, সুদ ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে তারা দাবি করেছেন। এ ব্যাপারে পিপরুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কলিম উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। ভিজিএফ ও ভিজিডি কার্ড দেয়ার নামে ইব্রাহিম দেওয়ান যে নোংরামি করেছেন, তা ক্ষমার অযোগ্য। এ ঘটনায় তিনি দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণœœ করেছেন। এ ব্যাপারে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
নলডাঙ্গা থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম মৃধা বলেন, ‘গত বছরের ৩ অক্টোবর বিকালে পিপরুল ইউনিয়নে এক দিনমজুরের স্ত্রীকে ভিজিএফের কার্ড করে দেয়ার কথা বলে বাড়িতে ডেকে নেন ইব্রাহিম। পরে ওই নারীকে পাশের একটি বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন তিনি। এ সময় তার দুই সহযোগী বকুল ও রেজাউল ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করেন। ঘটনাটি যাতে কেউ না জানে সে জন্য ইব্রাহিম তাকে ভয় দেখান ও নজরদারিতে রাখেন।’
তিনি জানান, স্থানীয়ভাবে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে দুই মাস পর শুক্রবার রাতে নলডাঙ্গা থানায় ওই নারী বাদী হয়ে ইব্রাহিম, বকুল হোসেন ও রেজাউল করিমকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ইব্রাহিম ও বকুলকে গ্রেপ্তার করে।