গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র সিলেট এবং সুনামগঞ্জে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় অসহায়দের মাঝে ১০০ টন শুকনো খাদ্য বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। গত ১৭ জুন থেকে এরই মধ্যে ২১ টন চিড়া ও পাঁচ টন গুড় বিতরণ করা হয়েছে। দুই লিটারের পাঁচ হাজার বোতল পানি ও পর্যাপ্ত পরিমাণের পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে। সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সুরমা সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় ১৫ টন গোখাদ্য বিতরণের জন্য ঢাকা থেকে গোখাদ্য পাঠানো হয়েছে। গত শুক্রবার থেকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় গোখাদ্য বিতরণ করা হচ্ছে।
প্রতিটি পরিবারকে দুই কেজি চিড়া, আড়াইশ গ্রাম গুড়, দুই লিটারের একটা করে পানির বোতল, পানি বিশুদ্ধকরণের ট্যাবলেট, খাবার জি স্যালাইন, প্যারাসিটামল, শিশুদের জন্য জি প্যারাসিটামল সিরাপসহ বিভিন্ন ওষুধপত্র বিতরণ করা হচ্ছে। দক্ষিণ সুনামগঞ্জে ও শান্তিগঞ্জ উপজেলায় পাগলা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ দুটি চিকিৎসা টিম আরেকটি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, নওধার, বিশ্বনাথ ও সিলেট জেলায় চিকিৎসা অব্যাহত রয়েছে। গত পাঁচ দিনে প্রায় পাঁচ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য বিতরণ করা হয়। দুই হাজার বন্যার্ত মানুষকে চিকিৎসা দেয়া হয়। বিশ্বনাথ নওধার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও শান্তিগঞ্জ পাগলা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রায় আড়াই হাজার মানুষ আশ্রয় নেয়। গত পাঁচ দিনে সিলেটের বিশ্বনাথে নওধার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকার আমতৈল, রহমান নগর ও আমতৈল বাজারে এক হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। বৈরাগী গাঁও, ঘোরাইল ও কাঁঠলিপাড়া গ্রামে মোট ৯০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পাগলা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং আশপাশের বন্যাকবলিত এলাকায় গতকাল ৯৫০টি পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে এবং ৬০০ রোগীকে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি