নিজস্ব প্রতিবেদক: দুর্গম বিবেচনায় দেশের ১৬ উপজেলায় কর্মরত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাসিক ভাতা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গ্রেড অনুযায়ী, প্রতি মাসে এক হাজার ৬৫০ থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাতা পাবেন ব্যাংকাররা। এর আগে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সেই প্রজ্ঞাপনের ধারবাহিকতায় গতকাল নির্দেশনা জারি করল বাংলাদেশ ব্যাংক।
১৬ দুর্গম এলাকার মধ্যে রয়েছে- কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম; চট্টগ্রামের সন্দীপ; কক্সবাজারের কুতুবদিয়া; নোয়াখালীর হাতিয়া; সিরাজগঞ্জের চৌহালী; কুড়িগ্রামের রৌমারী ও চর রাজিবপুর; পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী; ভোলার মনপুরা; সুনামগঞ্জের ধরমপাশা, শাল্লা ও দোয়ারাবাজার; হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ এবং নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলা। এসব এলাকাকে হাওর, দ্বীপ বা চর উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করে সরকার চাকরিজীবীদের ভাতা দিচ্ছে। ২০১৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি হাওর, দ্বীপ বা চর অঞ্চলকে উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বিশেষ ভাতার হারÑজাতীয় বেতনস্কেল ২০১৫-এর ২০ গ্রেডে এক হাজার ৬৫০ টাকা, ১৯ গ্রেডে এক হাজার ৭০০ টাকা, ১৮ গ্রেডে এক হাজার ৭৬০ টাকা, ১৭ গ্রেডে এক হাজার ৮০০ টাকা, ১৬ গ্রেডে এক হাজার ৮৬০ টাকা, ১৫ গ্রেডে এক হাজার ৯৪০ টাকা, ১৪ গ্রেডে দুই হাজার ৪০ টাকা, ১৩ গ্রেডে দুই হাজার ২০০ টাকা, ১২ গ্রেডে দুই হাজার ২৬০ টাকা, ১১ গ্রেডে দুই হাজার ৫০০ টাকা, ১০ গ্রেডে তিন হাজার ২০০ টাকা, ৯ গ্রেডে চার হাজার ৪০০ টাকা, ৮ গ্রেডে চার হাজার ৬০০ টাকা, ৭ থেকে তদূর্ধ্ব গ্রেডে পাঁচ হাজার টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ায় শাখাগুলোর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এসব এলাকায় কাজ করতে চায় না। ট্রান্সফার (বদলি) নেয়ার জন্য তদবির করে বিভিন্ন পর্যায় থেকে। কেউই যদি এসব এলাকায় না থাকে তবে শাখাগুলো চলবে কী করে? তাই বাড়তি ভাতা দিয়ে এসব এলাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজ করতে উৎসাহিত করতে চায় সরকার। এতে অবস্থার পরিবর্তন হবে বলে আশা করা যায়।