ক্রীড়া প্রতিবেদক: নিউজিল্যান্ড সফর থেকেই ফর্মের তুঙ্গে রয়েছেন তিনি। যে কোনো ফরম্যাটের ক্রিকেটে তার ব্যাটে ছুটছে রানের ফোয়ারা। গত পরশুও মুশফিকুর রহিমের ব্যাট যেন সে কথায় বললো। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে নরফোক একাদশের বিপক্ষে এ ডানহাতি খেলেন ৯৮ বলে ১৩৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। এদিকে সৌম্য সরকার করেন ৬৪ বলে ৭৩ রান। তাতেই স্বাগতিক দলের বিপক্ষে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৪৫ রানের বিশাল স্কোর গড়ে বাংলাদেশ। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত পরিত্যক্ত হয়ে যায়।
প্রতিবছর ইংল্যান্ডের আন্তর্জাতিক মৌসুম শুরু হয় ডিউক অব নরফোক একাদশের বিপক্ষে সফরকারী দলের প্রীতি ম্যাচ দিয়ে। ১৯৫২ সাল থেকে এ প্রথা চলে আসছে। সে ধারাবাহিকতায় গত পরশু আরুন্ডেল ক্যাসেলে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ৩৪৫ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে বিনা উইকেটে ১৮ ওভারে ১০১ রান করে নরফোক একাদশ। এর পরই শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। যে কারণে পরে আর মাঠে বল গড়াতে পারেনি।
হঠাৎ স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ায় দেশে ফিরেছেন নিয়মিত ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ইনজুরির জন্য গত পরশু একাদশের বাইরে ছিলেন তামিম ইকবাল। এদিকে আইপিএলে ব্যস্ত থাকায় নরফোক একাদশের বিপক্ষে ছিলেন না টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান। তারপরও টস জিতে বাংলাদেশকে ১১.২ ওভারে ৭৩ রান এনে দেন সৌম্য সরকার-ইমরুল কায়েস উদ্বোধনী জুটি। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ইমরুল (৪৪) ও সাব্বির রহমানকে (৫) হারিয়ে বিপদে পড়ে সফরকারীরা। কিন্তু তৃতীয় উইকেটে মুশফিকুর রহিম-সৌম্য সরকারের ৫১ রানের জুটি সেটা বুঝতে দেয়নি টাইগারদের।
সৌম্য ৬৪ বলে ৭টি চার ও এক ছক্কায় ৭৩ রান করে ফিরে গেলেও মুশফিক শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ৯৮ বলে ১৩৪ রানে ফেরেন। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৪ চার ও এক ছয়ে।
শেষদিকে নাসির হোসেন ৩০ বলে ২৬ ও মেহেদী হাসান মিরাজ করেন ৩৪ বলে ৩১ রান। এ দুজনের সঙ্গটা দুর্দান্তভাবে কাজে লাগান মুশফিক। শেষদিকে তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৩৪৫ রানের বিশাল স্কোর পায় বাংলাদেশ।