প্রতিনিধি, রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) অধিভুক্ত রাজশাহী ইনস্টিটিউট অব বায়োসায়েন্স ক্লাস-পরীক্ষাসহ যাবতীয় শিক্ষা কার্যক্রম সচল ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুর্নীতিবাজদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। গতকাল সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে ‘হয় হাফিজ হায়দারের বিচার চাই, নয় ৩০০ জন শিক্ষার্থীকে পুড়িয়ে মার’, ‘পূর্ণাঙ্গ পরিচালক পরিষদ চাই, ক্লাস রুমে ফিরতে চাই’, ‘দাবি মোদের একটাই অতিদ্রুত ক্লাস পরীক্ষা চাই’, ‘দুর্নীতিবাজদের বিচার চাই, পরীক্ষা চাই রুটিন দিন’, ‘স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে দিন, ক্লাস পরীক্ষা ফিরিয়ে দাও’Ñএমন সব প্ল্যাকার্ড প্রদর্শনীর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি জানান।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিভাগের পরিচালকদের গাফিলতির জন্য বন্ধ আছে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম। নিয়মিত ভর্তি ফি, ল্যাবসহ বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি নিলেও একাডেমিক কার্যক্রম শুরু না করায় এবং কর্মচারীদের বেতন দিচ্ছে না এমন অভিযোগ তোলেন তারা।
জানা যায় পরিচালক দুজন হলেনÑরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এফ এম আলী হায়দার ও অন্যজন হলেন উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ড. হাফিজুর রহমান। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের শাস্তির দাবি জানিয়ে ৫ দফা দাবি পেশ করেন।
দাবিগুলো হলোÑবিভিন্ন বিভাগের স্থগিত থাকা ব্যবহারিক পরীক্ষা চালু করতে হবে, পরিচালকদের (ড. এফএম আলী হায়দার ও ড. হাফিজুর রহমান) অপসারণ করে নতুন পরিচালনা পরিষদ গঠন করতে হবে, শিক্ষক-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-ভাতাদি পরিশোধপূর্বক প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক ক্লাস কার্যক্রম ফিরিয়ে দিতে হবে, দুর্নীতিবাজ পরিচালকদের (ড. এফ এম আলী হায়দার ও ড. হাফিজুর রহমান) শাস্তি প্রদান পূর্বক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে ও শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
ইনস্টিটিউটের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী মাহমুদ হাসান বলেন, ‘আমরা সেমিস্টার ফি দিয়ে লেখাপড়া করি। প্রতি ছয় মাস পরপর ২৮ হাজার টাকা ফি দিচ্ছি। ৪ মাস ধরে আমাদের সকল ক্লাস, পরীক্ষা স্থগিত হয়ে আছে। আমাদের শিক্ষকদের ঠিকঠাক বেতন দেয়া হয় না। এছাড়া পরীক্ষা দেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা যে টাকা দিয়ে থাকি সেগুলো দুর্নীতিবাজ পরিচালক লুটেপুটে খেয়েছে। পাশাপাশি আমাদের ল্যাব ও লাইব্রেরির কোনো সুযোগ সুবিধা নেই। আমরা দুর্নীতিবাজ পরিচালকের শাস্তি ও সকল ক্লাস, পরীক্ষা কার্যক্রম চলমান চাই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজশাহী ইনস্টিটিউট অব বায়োসায়েন্স পরিচালক ও উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এফএম আলী হায়দার ফোন ধরে ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন।
