নিজস্ব প্রতিবেদক: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, দুর্নীতির ক্ষেত্রে ছোট-বড় কোনো ইস্যু নয়, দুর্নীতি দুর্নীতিই। দুর্নীতিই দেশের উন্নয়নের সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে কেবল দুর্নীতিই দেশের জিডিপির ২ থেকে ৩ শতাংশ খেয়ে ফেলছে। তাই দুর্নীতিকে ন্যূনতম প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। গতকাল বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দুদক ও ভুটানের দুর্নীতি দমন কমিশনের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতামূলক সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এ কথা বলেন।
দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ ও ভুটান দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারপারসন কিনলে ইয়াংজুম নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে সই করেন। এ সময় দুদক কমিশনার ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ, এএফএম আমিনুল ইসলাম, ভুটানের রাষ্ট্রদূত সোনম টবডেন রেবজি এবং ভুটান দুর্নীতি দমন কমিশনের চার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
এ সমঝোতা স্মারকে দুর্নীতির প্রাথমিক অনুসন্ধান, শনাক্তকরণ, প্রমাণকরণ, দুর্নীতি প্রতিরোধসহ অভিজ্ঞতার বিনিময়, উত্তম চর্চা, দুর্নীতি প্রতিরোধে শিক্ষা কর্মসূচিসহ আটটি ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি দমন করা সত্যিই চ্যালেঞ্জ। বর্তমানে কমিশন দুর্নীতি দমনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। বাংলাদেশে দুর্নীতি দমনে দৃঢ় রাজনৈতিক সদিচ্ছা রয়েছে। আমরাও দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি অবলম্বন করেছি। দেশে দুর্নীতি দমনে এনজিও, সুশীল সমাজ, মিডিয়া তথা সাধারণ মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন পাচ্ছি।
তিনি বলেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের সর্বশেষ প্রকাশিত দুর্নীতির ধারণা সূচকে ভুটানের অবস্থান ২৭তম। বাংলাদেশের অবস্থান নিচের দিকে।
তিনি সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভুটানের উত্তম চর্চাগুলো গ্রহণ করতে চায়। এটা হবে দুই কমিশনের মধ্যে দ্বিমুখী যোগাযোগ। স্ব-স্ব দেশের আইনি কাঠামোর মধ্য থেকে সব ধরনের তথ্য বিনিময় করা হবে।
তিনি বলেন, দুর্নীতি দমনে আমরা একটা মিশন নিয়ে এসেছি। ভুটান দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারপারসন কিনলে ইয়াংজুম বলেন, ভুটান এবং বাংলাদেশের দুর্নীতির প্রক্রিয়া অভিন্ন। ভুটান সরকার দুর্নীতি দমনে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। ভুটানের দুর্নীতি দমন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। এটি ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ২০০৬ সাল থেকে কার্যক্রম শুরু করেছে।
তিনি বলেন, এ সমঝোতা স্মারকে কৌশল, কর্মসূচি, পদ্ধতি, নতুন নীতিমালাসহ পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্র রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দুদক ও ভুটান এসিসি পরস্পরকে সহযোগিতা করতে পারবে। এ ছাড়া পারস্পরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সমঝোতা স্মারক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।